করোনাভাইরাসের থাবায় বিশ্ব আজ লাশের স্তুপে পরিণত হয়েছে। এই পর্যন্ত প্রায় ৭৯ হাজার মানুষ মারা গেছে। এরমধ্যে বাংলাদেশে মারা গেছেন ২০ জন। করোনায় আক্রান্ত আছেন ২১৮ জন।
এখনো লক্ষ্মীপুরে কোন করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। কিন্তু এটি পুরোধমে প্রতিরোধ করতে প্রয়োজনে জেলাটিকে লকডাউন করা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার দুপুরে ভিডিও কনফারেন্সে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পালের বক্তব্য শুনেছেন। তখন প্রধানমন্ত্রী বলেন, লক্ষ্মীপুরে করোনা আক্রান্ত রোগী নেই, শুনে খুশি হলাম। লক্ষ্মীপুরের মানুষ লক্ষ্মী হয়ে ভালো থাকুক। এই দোয়া করি।
সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সভাপতি একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু জানান,
প্রধানমন্ত্রী উদার মনের মানুষ। তিনি দেশের প্রত্যেকটি মানুষের কথা চিন্তা করছেন। তিনি লক্ষ্মীপুরের মানুষকে লক্ষ্মী হয়ে থাকার জন্য দোয়া করছেন। উনার এই দোয়া কবুল হতে অবশ্যই, এই জেলা লকডাউন করা উচিত।
বাইরের কোন লোক যেন এই জেলায় প্রবেশ করতে না পারে প্রশাসনের কাছে এমন নির্দশনার দাবি জানান তিনি। তিনি আরও জানান, শুধু লকডাউন করলে হবে না। মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে একটা গ্রুপ গঠন করতে হবে। তারা ওই এলাকাকে পর্যবেক্ষন করবে।
লকডাউন এলাকার লোকজন যেন বিনা কারনে ঘর থেকে বের না হয় সে বিষয়ে দৃষ্টি রাখতে হবে। মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো সরাসরি খাদ্য সামগ্রীর জন্য না আসলে গোপনে মোবাইল ফোনে জানালে তাদের ঘরেও খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহারকারী লক্ষ্মীপুরের হাজার হাজার মানুষ জেলাকে লকডাউনে দেখতে চান। যে যার মত করে স্টাটাস দিয়ে লকডাউনের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে লকডাউনের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে অনলাইনে খোলা চিঠি আহবান করেছেন। সর্বোপরি মানবজাতিকে করোনামুক্ত করতে দয়ালু আল্লাহর পানাহ চান লক্ষ্মীপুরবাসী।
এই জেলাকে করোনা থেকে মুক্ত রাখতে লক্ষ্মীপুর অনলাইন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি কাজল কায়েস তার ফেসবুক ওয়ালে লকডাউনের দাবি জানিয়ে একটি স্টাটাস দিয়েছেন। সাংবাদিক কাজল কায়েসের স্টাটাসটি হচ্ছে ‘ সোজা পথ লকডাউন …লক্ষ্মীপুরকে করোনামুক্ত রাখতে লকডাউন ঘােষণা করা জরুরি। যেন অন্য জেলার লোকজন আপাতত এখানে ডুকতে না পারে। এতে লক্ষ্মীপুর সুরক্ষা পাবে, ইনশাল্লাহ ।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) বিষয়টি দ্রুত কার্যকর করবেন বলে আমরা প্রত্যাশা রাখছি। করোনা রোগী সনাক্ত হওয়ার পর লকডাউন ঘোষণা করা হলে তখন অপূরণীয় ক্ষতি হওয়ার আশংকা প্রবল। এমনিতেই আমাদের জনগন ঘরমুখী হচ্ছে না।কানে তুলছেন না প্রশাসন জনপ্রতিনিধি স্বেচ্ছাসেবীদের আহবান। তারা যেন সচেতনতার ধার ধারে না। তার ওপর আছে ত্রাণের লোভ আর হাট-বাজারে উৎসবের আমেজে ঘুরে বেড়ানোর অভ্যাস ! ঘরে থাকুন, নিরাপদে থাকুন। মহামারির এ দুর্যোগে ঘরকেই আপনি মসজিদ-উপাসনালয় বানিয়ে তুলুন। এখন মৃত্যুপুরী থেকে বাঁচতে ঘরে থাকা আর আল্লাহর কাছে বেশি বেশি প্রার্থনার বিকল্প নেই। নিরাপদ রাখুন প্রিয় লক্ষ্মীপুর, প্রাণের বাংলাদেশ।
0Share