আলা উদ্দিন সাজু: লক্ষ্মীপুরে নবম শ্রেনীর ছাত্রী হীরামনিকে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণ করে হত্যা করার ঘটনায় লক্ষ্মীপুরসহ সারাদেশে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। আমিও প্রতিবাদ করছি দ্রুত এর বিচার হোক, তবে দেখা যাচ্ছে অনেকেই হিরামনিকে নিয়ে ব্যাক্তিগত ও সাংগঠনিক ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করছেন।
জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংঘঠনগুলো হীরামনিকে সাইনবোর্ড করে তাদের সাংগঠনিক প্রচারনার কাজ করে যাচ্ছেন নিয়মিত (কিছুকিছু সংগঠন)। আমার পরিচিত অনেককে দেখেছি হিরামনির কবর জিয়ারত করে ফেসবুকে পোষ্টদিয়ে কি যেন একটা বুঝাতে চেয়েছেন। আমি তাতে বুঝেছি ফেসবুকের পোষ্টএর একটা ক্যাপশনের জন্যই মূলত এই কবর জেয়ারতটা করা।
এতে ব্যাক্তি ও তার সংগঠনের প্রচারনা চালিয়ে নেয়া ছাড়া আর কোন উদ্দেশ্য আছে বলে আমার মনে হয় না। এই জেয়ারতকারী অনেককেই আমি ব্যাক্তিগতভাবে চিনি যারা নিজের বাবা ও মায়ের কবর ভূল করেও জেয়ারত করেন না। বাবা মায়ের কবর জেয়ারত করেওবা কি লাভ সেছবি ফেসবুকে দিলেতো তেমন লাইক কমেন্ট বা ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা থাকেনা।
অন্যদিকে কিছুকিছু ফেসবুকার আছেন যারা তাদের ফেসবুক পেইজকে সক্রিয় করতে ও বেশি ফলোয়ার তৈরী করতে হীরামনিকে নিয়ে এ্যডভেটাইসের মডেল হিসেবে ব্যবহার করছেন। দুনিয়াতে বেঁচে থাকতে হীরামনিকে হতে হলো ধর্ষিতা আর মরার পরে হতে হলো আপনার বা আপনার সংগঠনের অথবা অপনার ফেসবুক পেইজের ফলোয়ার তৈরী করার একজন মডেল।
এটা অবশ্যই খুবই কষ্টের। ভবিষ্যত প্রজম্মের কাছে হীরামনির পরিবারকে আমরাই আমাদের স্বার্থের জন্য ধর্ষিতা পরিবার হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করে দিলাম। হীরামনির জান্নাত কামনা করি। আমার ফেসবুক ষ্টার হওয়ার কোন ইচ্ছা নাই তাই কবরের সামনে জেয়ারতের ছবি আপলোড করলাম না, দুরথেকে দোয়া ও বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
লেখক: বিনোদন সাংবাদিক
433Share