রায়পুর প্রতিনিধি: রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ২৩ এপ্রিল শনিবার ভোট অনুষ্ঠিতহবে। এর আগে রায়পুর উপজেলার ৫ ইউনিয়নের মধ্যে দুটিতে (চরমোহনা ও উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন) বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় আ’লীগের দুচেয়ারম্যানসহ সংরক্ষিত ও সাধারণ আসনের সকল সদস্য নির্বাচিত হতে চলেছেন।অন্যদিকে ২৩ এপ্রিল বাকী তিন ইউনিয়নে মোট ১১ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দীতা করছেন। একই সময়ে রামগঞ্জ উপজেলায় পাঁচটি ইউনিয়নে র্নিবাচন অনুষ্ঠিত হবে।
রায়পুর উপজেলার ইউপি নির্বাচনে ৩টি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ দলীয় প্রার্থী ব্যাতিত অন্য সব প্রার্থীরা সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শংকা প্রকাশ করেছেন। নির্বাচনে জিততে সর্বশেষ কৌশল নিয়ে কর্মী সমর্থকদের সাথে সলা-পরামর্শ করছেন চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীরা।
চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, ১নং উত্ত্র চর আবাবিল ইউনিয়নে মোঃ শহীদ উল্যা (আ’লীগ), কৌশিক আহম্ম্দে (স্বতন্ত্র) মোঃ ফরিদ উদ্দিন ( স্বতন্ত্র), রফিক উল্যা (বিএনপি)। ৪নং সোনাপুর ইউনিয়নে বিএম ইউছুফ জালাল (আ’লীগ), ইকতিয়ার উদ্দিন সোহাগ (বিএনপি), মোঃ নুরনবী (সতন্ত্র), মনিরুল ইসলাম (সতন্ত্র)। ৮নং দক্ষিন চরবংশী ইউনিয়নে আবু জাফর মোঃ ছালেহ (আ’লীগ), মোঃ হারুনুর রশিদ (জাপা), মোঃ আলী আকবর ( ইসলামী আন্দোলন)।
চেয়ারম্যান পদে এবারের নির্বাচন দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হওয়ায় এ উপজেলায় এর প্রভাব দলীভাবেই পড়বে বলে মনে করছেন স্থানীয় ভোটারেরা। তারা বলছেন, প্রার্থী দেখে ভোট দেবেন, এমন ভোটারের সংখ্যা কমই আছে। দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ায় অধিকাংশ ভোটারই এবার চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রতীক দেখে সীল মারবেন।
সোনাপুর ইউনিয়নের বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী ইকতিয়ার উদ্দিন সোহাগ জানান, বিভিন্ন মামলার পলাতক আসামীরা নির্বাচন উপলক্ষে এলাকায় বুক ফুলিয়ে চলাফেরা করায় আমরা সুষ্ঠু নিবাচন অনুষ্ঠান নিয়ে চিন্তিত। যারা পেশি শক্তি দিয়ে ভোট বানচাল করতে চায় তারা অস্ত্র আমদানি করে নির্বাচনের দিন ব্যবহার করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে আমার এলাকার অনেক ভোটার আমাকে জানিয়েছেন। আমি এব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছি।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) জাকির আহমেদ বলেন, প্রার্থীরা যেন কোনোভাবেই নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করতে না পারেন সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখা হচ্ছে। আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় ইতিমধ্যেই কয়েকটি স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। তিন ইউনিয়নের ২৭টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানে আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
রামগঞ্জে অংশ নেওয়া সাতজন বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে ছয়জনকে আওয়ামী লীগ নেতারা বশে আনতে পারলেও একজন এখনো অনড় অবস্থানে রয়েছেন। অথচ এক দিন পরেই নির্বাচন। বশে আনতে না পারা ওই বিদ্রোহী প্রার্থীর নাম নুর নবী খোকন। তিনি উপজেলার করপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নির্বাচন করছেন। ২৩ এপ্রিল করপাড়াসহ উপজেলার পাঁচটি ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, প্রথম দিকে পাঁচটি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে সাতজন বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে ছিলেন। পরে একক প্রার্থী দেওয়ার জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির নেতৃত্বে নেতারা দফায় দফায় বৈঠক করে ছয়জনকে বশে আনেন। কিন্তু করপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি নুর নবী খোকনকে বশে আনার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তাঁরা। নুর নবী খোকন বলেন, ‘প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে দল সাধারণ নেতা-কর্মীদের মতামতের মূল্যায়ন করেনি।’ তাঁদের অনুরোধে আমি নির্বাচন করছি। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শাহজাহান বলেন, ‘করপাড়া ইউপিতে দল থেকে বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুল মজিদকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে একজন নির্বাচন করছেন। তাঁকে বসিয়ে দিতে আমরা এখনো চেষ্টা চালাচ্ছি।’
0Share