নির্বাচনে কালো টাকার ছড়াছড়ি রোধে ভোটে প্রার্থীদের প্রচারের ব্যয়ের দিকে নজর রাখবে দুর্নীতি দমন কমিশন। বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ একথা জানান।
তিনি বলেন, “দেশের মানুষ বা আপনারা-আমরা কেউ চাই না যে নির্বাচনে কালো টাকা ব্যবহার হোক।”
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কালো টাকার বিস্তার ঠেকাতে গোয়েন্দা ইউনিটের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হবে বলে ইকবাল মাহমুদ জানান।
“আমাদের ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে একটা গাইড লাইন দিয়েছি, এটি আমি প্রকাশ করতে চাই না। ছোট্ট একটি উদাহরণ দিয়ে বলছি, ইলেকশনের প্রচার শুরু হলে কতগুলো গরু জবাই করলেন, কতগুলো খাসি জবাই করলেন, কতগুলো লাল পোস্টার করলেন… যেটা আইনসিদ্ধ নয়, সেগুলো আমাদের ইন্টেলিজেন্স ইউনিট কালেক্ট করে একটি তালিকা তৈরি করবে।
“আমরা ওই রিপোর্ট নিয়ে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নিব। এ বিষয়টি নিশ্চিত করব। তবে কতটুকু করতে পারব জানি না।”
অনুষ্ঠানে আলোচকরা প্রার্থীদের হলফনামা নিয়ে দুদকের পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে ইকবাল মাহমুদ বলেন, “কিছু সত্যই বলতে হবে, সত্য সত্যই। পৃথিবীর সব দেশেই জনগণের প্রত্যাশা থাকে নেতার চরিত্র পুত-পবিত্র হতে হবে। আমাদের দেশেরও নেতার নেতৃত্বে অবশ্যই সততা ও জবাবদিহিতা থাকতে হবে।
“বলেছিলাম যারা হলফনামায় তথ্য দেবেন, তা সঠিকভাবে দিবেন। হলফনামা পাবলিক ডকুমেন্ট। আমাদের গোয়েন্দা ইউনিট ডাউনলোড করছে। তবে কী করব ভবিষ্যৎ বলবে। আমরা বই আকারে সংরক্ষণ করছি।”
কালো টাকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ নিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, “ফ্ল্যাট ও প্লটে কালো টাকা চলে যাচ্ছে। এ বিষয়টি দুদক অবহিত। দুদক সরকারের কাছে বেশ কিছু সুপারিশ পাঠিয়েছে। সরকার এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে বলে দুদক প্রত্যাশা করে।
“তবে কালো টাকা যদি বিনিয়োগ হত, তাহলে দেশের কর্মসংস্থানে ভূমিকা রাখতে পারত।”
ঋণখেলাপির বিষয়ে তিনি বলেন, “এ বিষয়টি আমাদের না, ব্যাংকের। তবে যদি কেউ জালিয়াতি করে ঋণ নেন তাহলে বিষয়টি দুদকের।”
মতবিনিময় সভায় খ ম হারুন, মাহফুজ আনাম, মঞ্জুরুল হক, খায়রুল বাশার মুকুল, ইমদাদুল হক মিলন, মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, আবদুল কাউয়ুম, মোজাম্মেল বাবু, জ ই মামুন, মুস্তাফিজ শফি, শামীমুল হক, রাহুল রাহা, আশিষ সৈকত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
0Share