একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট প্রদানের জন্য অপেক্ষায় আছেন লক্ষ্মীপুর জেলাবাসী। লক্ষ্মীপুরের ৪ টি আসনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। নির্বাচনী প্রচারণা শেষ হওয়ায় জেলাজুড়ে শান্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। শুক্রবার সকাল থেকে জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানসহ বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ-বিজিবির সঙ্গে পৃথকভাবে সেনাবাহিনীর টহল দিতে দেখা গেছে। সেনাবাহিনী ও বিজিবির টহলে জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে জানালেন স্থানীয় এলাকাবাসী। সুষ্ঠ ভোট গ্রহণের আশা নিয়ে দেশের নানা প্রান্ত থেকে ভোটাররা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় ফিরতে শুরু করেছে।
জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ৪৪৬ টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৪৬ টি ভোট কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানালেন, জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে। জেলার ৪টি আসনে ঐক্যফ্রন্ট ও মহাজোটের প্রার্থীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ২৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।
প্রচার প্রচারনায় কিছুটা পিছিয়ে পড়া বিএনপি সমর্থকরা বাড়ি ফিরে আসতে শুরু করলেও নেতা-কর্মীরা রয়েছেন আত্মগোপনে । বিগত কয়েকদিন জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রধান দু’দলের কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা সংঘটিত হলেও শুক্রবার থেকে কোথাও কোন ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া সংগঠিত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
লক্ষ্মীপুর-১ রামগঞ্জ আসনে মহাজোট প্রার্থী ড. আনোয়ার হোসেন খাঁন (নৌকা) ও ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী শাহাদাত হোসেন সেলিম (ধানেরশীষ), লক্ষ্মীপুর-২ রায়পুর আসনে আওয়ামীলীগ সমর্থিত কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল (আপেল) ও বিএনপি দলীয় প্রার্থী জেলা বিএনপি’র সভাপতি আবুল খায়ের ভূইয়া (ধানেরশীষ), লক্ষ্মীপুর-৩ সদর আসনে মাহজোট প্রার্থী একেএম শাহজাহান কামাল (নৌকা) ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী (ধানেরশীষ), লক্ষ্মীপুর-৪ রামগতি-কমলনগর আসনে মহাজোটের প্রার্থী মেজার আবদুল মান্নান (অবঃ) (নৌকা) ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব (ধানেরশীষ)’র মধ্যে মূল প্রতিদ্ধন্ধিতা হবে ।
লক্ষ্মীপুর পুলিশ সুপার আসম মাহতাব উদ্দিন জানান, জেলার ৪টি আসনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৬প্লাটুন সেনাবাহিনী, ৯ প্লাটুন বিজিবি সদস্য, র্যাব ১১সহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আশা করছি স্বত:স্পূর্ত অংশগ্রহনে ভোটাররা তাদের ভোটাধীকার প্রয়োগ করতে পারবেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ দৃষ্টি রেখেছেন প্রত্যকটি আসনে।
জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নি অফিসার অঞ্জন চন্দ্র পাল জানান, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জেলাব্যাপী ১৬জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। এছাড়াও ভোটের দিন সেনাবাহিনী, র্যাব , বিজিবিসহ পুলিশ সদস্যরা কাজ করবেন।
0Share