চতুর্থ ধাপে লক্ষ্মীপুরের রামগতি পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। প্রথমবারের মতো এ পৌরসভায় ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-এর মাধ্যমে এ ভোট গ্রহণ করা হবে।
এদিকে প্রতীক বরাদ্দের পর রামগতি পৌরসভা নির্বাচনের ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা জমে উঠেছে। মেয়র থেকে শুরু করে কাউন্সিলর প্রার্থীরা দিন-রাত প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে প্রার্থীদের চলছে ভোট প্রার্থনা। ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতাকর্মীরা নির্বাচনী এলাকায় জনসভা করেছেন।
কয়েকটি নির্বাচনী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রার্থীদের সাদা-কালো পোস্টারে ছেঁয়ে গেছে পৌর এলাকার অলিগলি। নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ ও সভা করে জনগণের মন জয় করার চেষ্টা চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। প্রার্থীদের পরিবারের সদস্যরাও প্রচারণার মাঠে নেমেছে জোরেসোরে।
এ নির্বাচনে মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৫৭ জন মনোনয়নপত্র দখিল করেন। এতে নির্বাচন কমিশনের যাচাই-বাছাইয়ের পর ৫৪ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ বলে স্বীকৃতি পায়। এরমধ্যে একজন নারী কাউন্সিলর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।
এছাড়া উচ্চ আদালত থেকে দুই জন প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ায় এখন মেয়র পদে ৬, কাউন্সিলর পদে ৩৭ এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১২ জনসহ বর্তমানে ৫৫জন প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে লড়াই করছেন।
এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক বর্তমান মেয়র এম মেজবাহ উদ্দিন মেজু (প্রতীক- নৌকা), বিএনপি মনোনীত প্রার্থী পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র সাহেদ আলী পটু (প্রতীক-ধানের শীষ), স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবি আব্দুল্যাহ (প্রতীক-নারিকেল গাছ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী পৌর শাখার সহ-সভাপতি মো. আবদুর রহিম (প্রতীক- হাত পাখা), জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মো. আলমগীর হোসেন (প্রতীক- লাঙ্গল) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জামাল উদ্দিন (জগ) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
পৌর নির্বাচনে দুই হেভিওয়েট মেয়র প্রার্থী আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী আবি আব্দুল্যাহ ও মো. আলমগীর হোসেনের প্রচার-প্রচারণা চোখে পড়ার মত।
উল্লেখ্য: লক্ষ্মীপুরের উপকূলীয় অঞ্চল মেঘনা নদীর তীরবর্তী এ উপজেলা সদর আলেকজান্ডার, চর আলগী ইউনিয়নের চর হাসান হোসেন এবং চর বাদাম ইউনিয়নের চরসীতা এলাকা নিয়ে ২০০০ সালে পৌরসভায় উন্নীত করা হয়। ২০১৮ সালে এই পৌরসভাকে দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নীত করা হয়। ২০০২ সালে এই পৌরসভার প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বর্তমানে পৌর এলাকার ৯টি ওয়ার্ডে মোট ১৯ হাজার ২৮জন ভোটার রয়েছে। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ হাজার ৮৬০জন এবং মহিলা ভোটার ৯ হাজার ১৬৮জন।
0Share