লক্ষ্মীপুরে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) প্রথম রামগতি পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে রবিবার(১৪ ফ্রেবুয়ারি)।করা হবে। তবে রামগতি পৌরসভা নির্বাচনে সবগুলো কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ শনাক্ত করা হয়েছে। এ বিবেচনায় পুরো পৌরসভায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন থাকবে বলে জানিয়েছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন।
নির্বাচনী এলাকায় একপ্লাটুন বিজিবি, ৭০ জন পুলিশ সদস্য, ৯০ জন আনসারসহ গোয়েন্দা পুলিশ, র্যাব ও কোস্টগার্ডের বিশেষ টিম নিরাপত্তায় থাকবে। একই সঙ্গে পাঁচটি স্ট্রাইকিং ফোর্স সার্বক্ষণিক টহলে থাকবে। ভোটকেন্দ্রে নয়জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধায়নে আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন থাকবে।
এদিকে বিএনপি প্রার্থী সাহেদ আলী পটু পাঁচটি ভোট কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ দাবি করেছেন। তিনি নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ প্রশাসনকেও বিষয়টি জানিয়েছেন।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, নিজ দলের প্রার্থীকে জেতাতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীরা পার্শ্ববর্তী উপজেলা ও ইউনিয়ন থেকে ভোট কেন্দ্রগুলোতে অবস্থান নেবেন। দুই দলেয় নেতাকর্মীদের কেন্দ্র অনুযায়ী ভাগ করে দিয়েছেন। বহিরাগত নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে নির্বাচনী সহিংসতায় জড়িয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, রবিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রামগতি পৌরসভা মেয়র ও কাউন্সিলর পদে নির্বাচন। মেয়র পদে নৌকা প্রতিকে মেজবাহ উদ্দিন মেজু, ধানের শীষে সাহেদ আলী পটুসহ ৬জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডে সংরক্ষিত ও সাধারণ আসনে ৪৯ জন প্রার্থী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এবার পৌরসভার ১০ কেন্দ্রে ২০ হাজার ৯০৫জন ভোটার তাদের ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, আমাদের কাছে প্রতিটি কেন্দ্রই সমান। ঝূঁকিপূর্ণ বিবেচনা করেই প্রত্যেক কেন্দ্রে সমান নিরাপত্তা থাকবে। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে দেওয়া হবে না।
লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে আমরা সকল প্রস্তুতি নিয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন থাকবে।
0Share