এমআর সুমন, রায়পুর: ঠিক ২টায় প্রার্থীর সমর্থকরা মাইক নিয়ে প্রচারনার প্রতিযোগিতায় মেতে ওঠেন। অনেক সময় ভিন্ন ভিন্ন প্রার্থীদের একই সড়কে অটোরিকশায় ১০-১২টি প্রচারনার মাইক চলে। লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিদিন কমপক্ষে ৬৩টি মাইক দিয়ে তাদের প্রচার চালানো হচ্ছে। এসব মাইকের শব্দে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছেন হার্ট ও কানে সমস্যার রোগীরা।
জনসাধারণ শব্দে অতিষ্ঠ হয়ে ওই সময়টুকু দুই হাত দিয়ে কান চেপে ধরতে দেখা গেছে। স্বল্প সংখ্যক এই ভোটারদের জন্য এতগুলো মাইক বরাদ্দ অপ্রয়োজনীয় বলে মনে করেন সচেতন সমাজ। এদিকে শব্দ দূষণে বাজে অবস্থা এলাকার। অতিমাত্রার শব্দদূষণে হার্ট ও কানের রোগীরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন। এছাড়া মসজিদ, ক্লিনিক, অফিস, ব্যাংক-বীমার দাপ্তরিক কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে।
শহরের ডেকোরেটর ব্যবসায়ীরা সোহেল জানান, মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীর লোকজন দেড়টার দিকে রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশায় মাইক বেঁধে প্রচারণা চালান। দুইটা বাজার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু করে দেন মাইকিং। এবার মাইকের জোগান দিতে তারা হিমশিম খাচ্ছেন। পড়ে থাকা ভাঙাচোরা মাইকগুলো এখন ঠিকঠাক করে কোনোমতে বাজানোর উপযোগী করা হচ্ছে।
ওষুধ ব্যবসায়ী জগনার্থ ঘোষ বলেন, শহরে একটির পর একটি মাইক আসতেই থাকে। এতে কান ঝালাপালা হয়ে যায়। মাইকের যন্ত্রণাদায়ক শব্দের কারণে মুঠোফোনে কথা বলাসহ কাজকর্ম করা যায় না। তাই মাইকিংটাকে আরো সীমিত করে দেয়া উচিত।
এ বিষয়ে রায়পুর পৌরসভার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার দীপন বিশ্বাস বলেন, প্রচারণা নিয়ে কিছু কিছু অভিযোগ পাচ্ছি। নিয়মনীতি না মেনে কেউ আচারণবিধি ভঙ্গ করে মাইকিং করলে ম্যাজিস্ট্রেট পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে অতিরিক্ত মাইকিং শব্দে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রায়পুর পৌর নির্বাচনে ৬জন মেয়রপ্রার্থী, ৫০ জন কাউন্সিলর প্রার্থী ও ৭ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীসহ ৬৩ জন নির্বাচন করছেন। একজন প্রার্থীর পক্ষে একটি করে মাইকিং করার নিয়ম রয়েছে। প্রতিদিন বেলা দুইটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত চলে মাইকিং। ১৩ ফেব্রুয়ারি প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে মাইকে প্রচার চলছে।
রায়পুর পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডে জনসংখ্যা ২৭ হাজার ৪৯৬ জন। আর ভোটার ২৩ হাজার ৬শ’ ৩১ জন। তন্মধ্যে পুরুষ ভোটার ১১ হাজার ৯শ’ ৯০জন ও মহিলা ভোটার ১১ হাজার ৬শ’ ৪১ জন। ৯টি ওয়ার্ডে ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১৩টি।
0Share