লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর) আসনে উপ-নির্বাচনে আলোচনায় আছেন এডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন। তিনি লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এর আগে ২২ ফেব্রুয়ারি সংসদ সচিবালয় পাপুলের সংসদ সদস্য পদ বাতিল সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে গত ২৮ জানুয়ারি থেকে তার পদ শূন্য দেখানো হয়েছে। এ আসনের উপ-নির্বাচন ১১ এপ্রিল। মনোয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৮ মার্চ। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের তারিখ ১৯ মার্চ। প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৪ মার্চ। বুধবার (৩ মার্চ) নির্বাচন কমিশন ভবনে কমিশন বৈঠক শেষ এ কথা জানান ইসি সচিব হুমায়ুন কবির খোন্দকার।
সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘কুয়েতে ফৌজদারি অপরাধে চার বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ায় লক্ষ্মীপুর-২ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য শহিদ ইসলাম বাংলাদেশের সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী সংসদ সদস্য পদে থাকার যোগ্য নয়। সেই কারণে সংবিধানের ৬৭ (১) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রায় ঘোষণার তারিখ ২৮ জানুয়ারি হতে তার আসন শূন্য হয়েছে।’ এদিকে নির্বাচনের খবরে দলীয় নেতাকর্মীরা এডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নকে নৌকা প্রতীক এ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী পেতে কেন্দ্রীয় নেতাদেরক নিকট দাবি জানান। দলের মধ্যে বিভাজন দূরীকরণে এডভোকেট নয়নের দক্ষতা অতুলনীয়।তিনি জেলার প্রত্যেক নেতাকর্মীদের সুসংগঠিত করে রেখেছেন। এডভোকেট নয়ন জেলার রামগঞ্জ, রামগতি ও রায়পুর পৌরসভার নির্বাচনে নেতাকর্মীদের নিয়ে সক্রিয়ভাবে নৌকা প্রতীককে বিজয় করতে নিরলসভাবে কাজ করেছিলেন।
এসব পৌরসভায় নৌকার প্রার্থী বিজয় হয়েছে। এছাড়াও বিশ্ব মহামারী করোনা কালীন সময় জেলার প্রায় ১০ হাজার ঘরবন্দি মানুষকে খাদ্য সামগ্রী দিয়ে সহযোগীতা করেছেন এ নেতা। দলীয় নেতাকর্মীদেরকে ব্যক্তিগতভাবে নগদ অর্থ প্রদানের মাধ্যমে সহযোগীতা করেছেন। উপকূলীয় এ জেলায় যখন শীতের তীব্রতা দেখা দেয় তখন তিনি ব্যক্তিগত অর্থায়নে কম্বল বিতরণ করেন। তিনি একাধিক মসজিদ ,মাদ্রাসা ও স্কুল-কলেজের দায়িত্বে রয়েছে। এসব ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়নে তার ভুমিকা লক্ষ্যনীয়।
তিনি শতাধিক নেতাকর্মীদের চিকিৎসার জন্য কয়েক লক্ষ টাকা দিয়ে সহযোগীতা করেছেন। এজন্য এ আসনের উপনির্বাচনে এমপি পদে এভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নকে পেতে চায় সর্বদলীয় লোক।
এডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন ছাড়াও এ আসনে প্রার্থী রয়েছে সাবেক এমপি হারুনুর রশিদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিয়া গোলাম ফারুক পিংকু, জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক এহসানুল কবির জগলুল, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ আলী খোকন, বর্তমান কমিটির উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সামছুল ইসলাম পাটওয়ারী, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, রায়পুর উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হারুনের রশীদ, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা তাদের পক্ষে আলাদা ও বিক্ষিপ্তভাবে প্রচারণা চালাচ্ছেন। ফেসবুক স্ট্যাটাসের পাশাপাশি ইতিমধ্যে ওই নেতাদের পোস্টার-পেস্টুনও বিভিন্ন এলাকায় সাঁটিয়েছেন।
0Share