রামগতি ও কমলনগরের ৬টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে নির্বাচনের দিন ব্যাপক সহিংসতার আশংকা করছে সাধারণ মানুষ। নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালীন সময়ে দু উপজেলায় বেশ কয়েকটি সংঘর্ষের ঘটনায় এমন আশংকা তৈরি হয়েছে। ইতোমধ্যে এলাকায় অপরিচিত ও ভাড়াটে লোকজনের ব্যাপক আনাগোনা শুরু হয়েছে। সোমবার ( ২১জুন) তারিখে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ইতোমধ্যে কমলনগরের তোরাবগঞ্জ, হাজিরহাট, চর ফলকন এবং রামগতির চর রমিজ, চরপোড়াগাছা ও চরবাদাম ইউনিয়নে বেশ কয়েকটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
বিগত নির্বাচনগুলোতেও বহিরাগত ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও জলদস্যুরা কেন্দ্র দখল ও গোলাগুলি করেছিল। এবারও কয়েকজন চেয়ারম্যান ও মেম্বার পদপ্রার্থী সন্ত্রাসীদের ভাড়া করেছেন বলে জোর গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা এড়াতে র্যাব-পুলিশের পাশাপাশি পর্যাপ্ত সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েনের দাবি উঠেছে। অন্যদিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা গত বুধবার লক্ষ্মীপুরে প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। তিনি বলেছেন, সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকলে নির্বাচন বন্ধ রাখতে হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রামগতি উপজেলার চর রমিজে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মুজাহিদুল ইসলাম দিদার ও শারাফত আলী ভূঁইয়ার সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
কমলনগরের চরফলকনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাজ্জাদুর রহমান (ঘোড়া) ও মোশারফ হোসেন বাঘা (নৌকা), তোরাবগঞ্জে ফয়সাল আহমেদ রতন (ঘোড়া) ও মির্জা আশরাফুর জামান রাসেল (নৌকা), হাজীরহাটে নিজাম উদ্দিন (নৌকা) ও আক্তার হোসেন মিলনের (চশমা) কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ২ চেয়ারম্যান প্রার্থী খালাতো ভাইয়ের সমর্থকদের মাঝে পাল্টাপাল্টি হামলায় ৮ কর্মী আহত হয়েছেন। ইউনিয়নটির ৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এর আগেও একাধিকবার হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
অন্যদিকে চর ফলকন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী সাজ্জাদুর রহমানের নির্বাচনী প্রচারণায় বার বার বাধাঁর অভিযোগ ওঠেছে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোশারেফ হোসেন বাঘার বিরুদ্ধে। একই সময়ে হাজিরহাট ইউনিয়নের কয়েকজন মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে একাধিকবার হামলার ঘটনা ঘটেছ।
রামগতি উপজেলার চর রমিজ ছাড়া ও চর বাদাম, চর পোড়াগাছায় ছোট বড় নানা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসকল এলাকার ভোটারা নির্বাচনের দিন পর্যাপ্ত সংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি আশা করছেন।
0Share