কমলনগর: কমলনগরের ২টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনের প্রচারণায় তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নে যুক্ত হয়েছে ডিজিটাল কৌশল। ২৮ আগষ্ট বুধবার সকাল ১০টায় প্রতীক বরাদ্ধের পরপরই প্রচারণার আধুনিক কৌশল প্রয়োগ শুরু করেন সাবেক চেয়ারম্যান মহি উদ্দিন আহমেদ সেলিমের বড় ছেলে ফয়সল আহমেদ রতন। তিনি প্রতীক বরাদ্ধ পাবার ১ ঘন্টার মধ্যে বেলা ১১টায় তার প্রতীক দোয়াত কলেমের পোষ্টার পৌছেঁ দেন তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নসহ পুরো কমলনগর জুড়ে। বিকাল থেকে দেশের সেরা ফোক কন্ঠশিল্পী মমতাজ এবং ডলি সায়ন্তনীর কন্ঠশিল্পী বাজতে শুরু করে তার প্রচারণার গান। প্রচারণায় আসে চমকের পর চমক। তার পক্ষে লাইভ প্রচারণা মূলক গান নিয়ে আসে বিভিন্ন জারিসারি ও বয়াতী দল। ফেইসবুক,টুইটার,ইউটিউবে ছড়িয়ে যায় তার বিভিন্ন অডিও এবং ভিডিও বাতা। এখানেই শেষ নয় বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরের নাম্বার থেকে ভোট প্রাথনা করে ভোটারেদের কাছে যায় ভয়েস এবং টেক্স এসএমএস ও এমএমএস। ডিশ লাইনে বাজছে রতনের পক্ষে গান। ডিজিটাল সাউন্ড সিষ্টেমে গ্রাম গঞ্জে ছড়িয়ে পড়ছে তার প্রচারণা। বিভিন্ন টেলিকম দোকানে প্রচার হচ্ছে তার প্রচারণার গান। আর এই রকম অভিনব প্রচারণা দেখে তরুন তো বটেই বৃদ্ধ ভোটাররা ও যেন নতুন ভাবে মজা পাচ্ছে। অনেকে বলছে একে বলে সত্যিকার ডিজিটাল প্রচারণা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শুধু রতনই নন তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের সকল প্রাথীই এখন ভোটারদের মন জোগাতে এই ডিজিটাল প্রচারণার দিকে ছুটছে। কিন্তু পাশবতী মাটিন ইউনিয়নে আগের সেই এনালগ পদ্ধতিতে প্রচারণা হচ্ছে । তাই বিকাল বেলা তোরাবগঞ্জের আধুনিক প্রচারণা উপভোগ করতে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে শতশত মানুষ ছুটে আসছে তোরাবগঞ্জের প্রচারণা উপভোগ করতে।
প্রসঙ্গত,বিগত ১ জুলাই তারিখে তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহি উদ্দিন আহমেদ সেলিম এবং ১২ জুলাই তারিখে মার্টিন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ খোরশেদ আলম মারা যাওয়ার পর নির্বাচন কমিশন এই দুটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদ শুন্য ঘোষণা করে এবং আগামী ৫ সেপ্টেম্বর তারিখে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই লক্ষ্যে ২৮ আগষ্ট বুধবার সকাল ১০টায় ২টি ইউনিয়নের উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১৪ জন প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। তখন থেকেই প্রার্থী ও ভোটারদের মাঝে আনন্দের আমেজ দেখা যায়। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শেখ ফরিদ জানান, ৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য উপনির্বাচনে তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নে ৬জন এবং চর মার্টিন ইউনিয়নে ৮জনসহ ২ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মোট ১৪ জন প্রার্থী প্রতীক বরাদ্ধ পেয়েছেন। ৯ নং তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নে ফয়সল আহমেদ রতন (দোয়াত কলম),সুলতান আহমেদ টিপু (আনারস),মাষ্টার নুরুল আমিন (চশমা),আবদুর জাহের ভুইঁয়া(তালা),মোঃ কামাল উদ্দিন আহমেদ বাহার(মটর সাইকেল) এবং মোঃ নিজাম উদ্দিন (কাপ পিরিচ) প্রতীক বরাদ্ধ পেয়েছেন। অন্যদিকে ৪ নং চর মার্টিন ইউনিয়নে ডাঃ আলী আহমেদ (আনারস),মোঃ জাহাঙ্গীর আলম(মটর সাইকেল),ইউছুফ আলী (কাপ পিরিচ),মাকছুদের রহমান মানিক(চশমা),মোঃ শাহাজাহান(টেলিফোন),মোঃ আব্বাস উদ্দিন(দোয়াত কলম),মোঃ সোলাইমান(জাহাজ) এবং ওমর ফারুক(তালা) প্রতীক বরাদ্ধ পেয়েছেন।
0Share