ঢাকা: দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষীপুর-১ আসনের বিজয়ী প্রার্থীর ফলাফল কেন বাতিল করা হবে না, একই সঙ্গে ওই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল ইসলামকে কেন বিজয়ী ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে সৌমেন্দ্র সরকারের একক বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রিটটি দায়ের করেছিলেন ওই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুল ইসলাম। আদালতে তার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুর রব চৌধুরী।
আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে রিটের বিবাদী নির্বাচন কমিশন, বিজয়ী প্রার্থী এমএ আউয়ালসহ সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আবেদনে বলা হয়, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষীপুর-১ আসনে রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও প্রশাসনের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও ভোট কারচুপির মাধ্যমে বিবাদী তরিকত ফেডারেশনের এমএ আউয়ালকে (নৌকা প্রতীক) বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
এরপর শফিকুল ইসলাম ওই নির্বাচনের প্রকাশিত ফলাফলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি আবেদন দায়ের করেন।
এর আগে গত ১১ ফেব্রুয়ারী তারিখে লক্ষীপুর-৪ আসনের ফলাফল বিষয়ে ও অনুরুপ একটি আদেশ দেয় হাইকোর্ট।
ঢাকা: লক্ষীপুর-৪ আসনের নির্বাচনের ফলাফল কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ওই আসেনে পূনরায় নির্বাচনের আদেশ কেন দেয়া হবে না জানতে চাওয়া হয়েছে।
১১ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলাবার এক নির্বাচনী আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি সৌমেন্দ্র সরকারের নেতৃত্বে একক বেঞ্চে এই রুল জারি করেন।
আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন কমিশন, জেলা রিটার্নিং অফিসার, কমলগঞ্জ ও রামগতির সহকারীরিটানিং অফিসারসহজ সংশ্লিষ্ট সাতজনকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আজ আদালতের শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুর রউফ চৌধুরী, গিয়াস উদ্দিন ও ইব্রাহিম খলিল। এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি আজাহার উদ্দিন চৌধুরীর পক্ষে আবেদনটি করেন আইনজীবী আব্দুর রউফ চৌধুরী।
আব্দুর রউফ জানান, গত ৫ জানুয়ারির দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষীপুর-৪ আসনের (রামগতি ও কমল গঞ্জ) এলাকায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. আব্দুল্লাহ অবৈধ টাকার বিনিময়ে পোলিং অফিসারসাদের মাধ্যমে পার পেয়ে যান। যেখানে মাত্র ৫ থেকে ৬ শতাংশ ভোটার উপস্থিত হয়েছে। অথচ তারা কোনো কোনো কেন্দ্রে ৬০-৭০ ও ৮০ শতাংশ ভোট পড়েছে উল্লেখ করেছেন যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
তিনি বলেন, টাকার বিনিময়ে ৯০শতাংশ ভোট দেখিয়ে নোকা প্রতীকের প্রার্থীকে (এমপি) সংসদ সদস্য করায় গত ৭ ফেব্রুযারি আজাহার উদ্দিন চৌধুরীর তার নির্বাচন এবং ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকের্টে একটি আবেদন করেন।
0Share