সংবাদদাতা: ঢাকাস্থ রামগতি উপজেলা সমিতির ঈদ পূণর্মিলনী অনুষ্ঠান শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর তোপখানা রোডস্থ বিএমএ অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুরের রামগতি-কমলনগর আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ (আল মামুন)। সমিতির সভাপতি মেশকাত উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিসহ সাবেক সভাপতি এএইচএম নোমান ও সাধারণ সম্পাদক এ কে এম জসীম উদ্দিনকে সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়।
এ ছাড়া রামগতির কৃতি সন্তান ও দারিদ্র বিমোচন ও মানবহিতৈষী কাজে অবদান রাখায় দেশে প্রথমবারেরমত গুসি আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার-২০১৩ লাভ করায় এএইচএম নোমানকে বিশেষ সম্মাননা ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়।
ঢাকাস্থ রামগতি উপজেলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, সাবেক সংসদস সদস্য আব্দুর রব চৌধুরী, একরামুল হক এফসিএ, রামগতি উপজেলার চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল ওয়াহেদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রোকেয়া আজাদ, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান আজাদ উদ্দিন চৌধুরী, বড়খেরী ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মুনির চৌধুরী শামীম, মিজানুর রহমান চৌধুরী, অনুষ্ঠান আয়োজন কমিটির আহবায়ক ও সমিতির সহ-সভাপতি মোঃ মোছলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া, যুগ্ম সম্পাদক মিজান আহমেদ, অর্থ সম্পাদক মোঃ জামাল উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: জাকির, প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন প্রমূখ।
সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আবদুল্লাহ (আল মামুন) বলেন, উপকূলীয় চরাঞ্চল এলাকা এবং মেঘনার করাল গ্রাসে ক্ষতবিক্ষত তথাপি সকল প্রকার বৈরী প্রতিকূলতা জয় করে রামগতি উপজেলার মানুষগুলো স্ব-স্ব স্থানে উচ্চ আসনে আসিন হয়ে একে অন্যের জন্য কাজ করে জাচ্ছে। আসুন রামগতির সকল সমস্যাকে নিজেদের মত করে সমাধানের চেষ্টা করি।
ঢাকাস্থ রামগতি সমিতির মাধ্যমে ঢাকায় বসবাসরত রামগতির সকল স্তরের মানুষগুলোর সেতুবন্ধন আরো দৃঢ় হবে এই প্রত্যাশ করছি।
অনুষ্ঠানে সমিতির সাবেক সভাপতি এএইচএম নোমান বলেন, ইতোমধ্যে জরুরিভাবে আলেকজান্ডার ২০ শয্যা হাসপাতাল ও সড়ক রক্ষা বাঁধ বরাদ্দ টাকা সঠিকভাবে কাজে লাগেনি, অভিযোগ উঠেছে। একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পের কাজ এই মৌসুমেই অতি দ্রুত কিভাবে শুরু করা যায়, সে পথ পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সতর্কতা অনুসরণ অবলম্বন করতে হবে।
পাশপাশি স্থানীয় জন প্রতিনিধি, এরিয়াভিত্তিক মনিটরিং কমিটি গঠন করে, সঠিক সুষ্ঠভাবে, মানসম্মত কাজ বাস্তবায়নের পথ-পরিবেশ সৃষ্টি করা এবং সত্যিকারভাবে, নদী ভাঙ্গা অসহায়দের সহায়তা দান করা। পাশাপাশি পূর্ণবাসন কল্পে বহুতল বিশিষ্ট বসতিসহ আয়মূলক কর্মসূচী গ্রহণ করতে হবে।
সরকারী-বেসরকারী ও গরীবদের যৌথ অংশগ্রহণে পাবলিক পূয়র প্রাইভেট পার্টনারশীপ (পিপিপিপি)’র মাধ্যমে রামগতি থেকে উৎসারিত দারিদ্র বিমোচনে এনজিও র্ডপ কর্তৃক ‘মাতৃত্বকালীন ভাতা’ এবং ‘স্বপ্ন প্যাকেজ’ কার্যক্রম সারা দেশে দৃষ্টান্ত হয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ কে এম জসীম উদ্দিন বলেন, রাক্ষসী মেঘনার হিংস্র মূর্তি এখানকার মানুষদের জীবন প্রবাহকে তছনছ করে দিচ্ছে। তবু প্রতিকূল প্রকৃতির সাথে সংগ্রাম করে টিকে আছে এবং দেশ মাতৃকার উন্নয়নে অবদান রাখছে এই জনপদের মানুষেরা।
শিক্ষা, সংস্কৃতি, রাজনীতি, অর্থনীতিসহ জীবনের সর্বক্ষেত্রে প্রাকৃতিক প্রতিকূলতাকে জয় করে মেধা ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখছে রামগতির মানুষ। রামগতি উপজেলা সমিতি, ঢাকা রামগতির মানুষদের একটি অরাজনৈতিক সামাজিক সংগঠন।
প্রবাস জীবনে রামগতির ঐতিহ্য, ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে ধারণ করে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের মেলবন্ধ এই সমিতি। সমিতির বর্তমান কমিটির আন্তুরিকতা, কিছু করার আকাক্সক্ষা ও উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
সমিতির সভাপতি মেশকাত উদ্দিন আহমেদ বলেন, ষাটের দশকে প্রথম রামগতি সমিতি গঠন করা হয়। অঅজকের দিনে আমরা তাদের স্মরণ করছি। বিশ্বের অন্যতম ‘গুসি আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার’ অর্জণকারী রামগতির কৃতি সন্তান এএইচএম নোমান এ স্মান লাভ করায় আমরা গর্বিত। অতীতের ভুলত্রটি, হিসা বিদ্বেস পরিহার করে ক্ষুদ্র ব্যক্তি স্বার্থের উর্দ্ধে উঠে আমাদের সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটাতে হবে।
সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক বলেন, ভাঙ্গনের কবলে রামগতি-কমলনগরের এক তৃতীয়াংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আমাদের সঠিক নেতৃত্বের অভাব ছিল না, অভাব ছিল উদ্যোগের। দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবস্ধভাবে দাবী আদায়ের প্রয়োজনে গণসংগ্রাম কমিটি গঠন করতে হবে। উদ্যোগ নিতে হবে গণ কান্নার।
0Share