লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোর: যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে সারাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে।। এই ঈদে চাঁদ দেখা নিয়ে ঈদুল ফিতরের মতো আগের দিনের দোদুল্যমানতা নেই। আগেই নির্ধারিত হয়েছে ঈদের তারিখ। ১৬ অক্টোবর বুধবার বা ১০ জিলহজ। এখন কেবল রাত পোহানোর প্রতীক্ষা। কোরবানির পশু কেনা হয়েছে। কর্মস্থল থেকে যাঁরা গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন, তাঁরা ঘরেও ফিরেছেন। মহান আল্লাহ তাআলার উদ্দেশে পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে দেশের মুসলিম সম্প্রদায় তাঁদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা উদ্যাপন করছেন। ঘরে ঘরে ত্যাগের আনন্দে মহিমান্বিত হচ্ছে মন। জিলহজ মাসের ১০ তারিখে ঈদুল আজহা উদ্যাপিত হলেও পরের দুই দিন, অর্থাৎ ১১ ও ১২ জিলহজেও পশু কোরবানি করার বিধান আছে।
কোরবানির মধ্য দিয়ে নিজের ভেতরের পশুত্বকে পরিহার করা ও হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর মহান আত্মত্যাগের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বুধবার সকালেই মুসল্লিরা নিকটস্থ ঈদগাহ বা মসজিদে আসবেন ঈদুল আজহার দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায়ের জন্য। নামাজের খুতবায় তুলে ধরা হবে কোরবানির তাৎপর্য। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ধনী-গরিবনির্বিশেষে সবাই একত্রে নামাজ আদায় করবেন। শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন কোলাকুলির মাধ্যমে।
নামাজ শেষে অনেকেই গেছেন কবরস্থানে স্বজনের কবর জিয়ারত করতে। আনন্দের দিনে অশ্রুসিক্ত হয়ে চিরকালের জন্য চলে যাওয়া স্বজনের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে আল্লাহর দরবারে করজোড়ে মোনাজাত করেছেন তাঁরা।নামাজ শেষে আল্লাহ তাআলার উদ্দেশে পশু কোরবানি এই ঈদের প্রধান কর্তব্য।
লক্ষ্মীপুরে ঈদের প্রধান জামাত হয় সোনা মিয়া ঈদগাহে। সরকারিভাবে ঈদুল আজহা উদ্যাপনে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এ সবের মধ্যে রয়েছে সরকারি-বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, আলোকসজ্জা এবং বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান।
ঈদুল আযহা উপলক্ষে আমাদের সকল সম্মানিত পাঠক কে জানাই শুভেচ্ছা।
0Share