জুনায়েদ আহম্মেদ: লক্ষ্মীপুরে অধিকাংশ বাজারগুলোতে বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরার সামনে ও ফুটপাতে টেবিল সাজিয়ে শুরু হয়েছে ইফতার সামগ্রীর বেচাকেনা। প্রচন্ড তাপদাহের কারণে ইফতারি বেচাকেনা এতদিন মন্দা হলেও সপ্তাহের শেষে ইফতার বাজার জমে উঠেছে। পেঁয়াজু, বেগুনি, বিভিন্ন ধরনের কাটলেট, শাহী জিলাপী, বুরিন্দা, হালিম, আলুর চপ, সবজির চপ, ভেজিটেবল রোল, ছোলা বুট, কাচ্চি বিরানীসহ নানা রকমের ইফতারের পসরা সাজিয়েছেন বিক্রেতারা।
সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ, দত্তপাড়া, বশিকপুর, জকসিন, রায়পুর পৌর শহর, হায়দরগঞ্জ, কমলনগরের হাজিরহাট, করুণানগর, রামগতির আলেকজান্ডার, রামগঞ্জ পৌর শহরসহ প্রায় সব বাজারে বিভিন্ন ধরনের ইফতারের পাশাপাশি দেশীয় ফলের জুস, ফালুদা ও মিক্স ফ্রুটের চাহিদা ও সরবরাহ বেড়েছে। সকাল থেকে বেচাকেনা তেমন না হলেও দুপুর গড়ালেই বাজার জমে উঠে, এমনটিই জানিয়েছে একাধিক বিক্রেতা।
শহরের একাধিক দোকান ঘুরে দেখা যায়, শাহী জিলাপী প্রতি কেজি ১৫০ টাকা, জিলাপী প্রতি কেজি ১২০ টাকা, ছোলাবুট প্রতি কেজি ১৫০ টাকা, পেঁয়াজু, বেগুনি ও আলুর চপ প্রতি পিছ ৫ টাকা, হালিম কেজি প্রতি ১২০ টাকা, কাচ্চি বিরানী প্রতি প্লেট ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর খেজুরের খুচরা দাম প্রতি কেজি সর্বনিম্ন ৭০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শহরের বিভিন্ন হোটেল ও রেষ্টুরেন্টগুলো থেকে মুখরোচক ইফতারসামগ্রী সংগ্রহ রোজাদারদের ইফতারে রোজকার আয়োজনে স্থান করে নিয়েছে।
শহরের উত্তর তেমুহনীর নূর জাহান হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্টের স্বত্বাধিকারী মোঃ সাইফুল আলম পারভেজ জানান, ক্রেতাদের চাহিদামত ইফতারি সীমিত দামে বিক্রি করছেন তিনি। এবার রমযানের শুরুতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ফণি আতঙ্ক আর প্রচন্ড তাপদাহ কারণে বেচাকেনা তেমন না হলেও এ সপ্তাহের শেষে বেচাকেনা বেড়েছে।
তবে এবছর মানস্মমত খাবার, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে প্রশাসনের তদারকিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন অধিকাংশ ক্রেতা।
0Share