সানা উল্লাহ সানু: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) ৪০টি সমিতির মধ্যে সারাদেশে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় দুই সমিতি লক্ষ্মীপুর ও পটুয়াখালী। সবচেয়ে বেশি খুঁটি নষ্ট হয়েছে লক্ষ্মীপুর ও পটুয়াখালীতে, সেখানে ১২৫টি করে খুঁটি ভেঙেছে। আর লক্ষ্মীপুরে খুঁটি উপড়ে পড়েছিল ২৪০টি। তার ছিড়ে গিয়েছিল ৪৫০ জায়গায়। ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়েছে ৪৫টি। লক্ষ্মীপুরে ইনসুলেটর ক্র্যাক করেছে ১৮০টি। আরইবি সূত্র এ তথ্য জানা গেছে।
লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার জাকির হোসেন জানিয়েছেন, ঝড়ে লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুতের প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
অন্যদিকে আরইবি সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে উপকূলীয় জেলাগুলোতে এক কোটি দুই লাখ ৭২ হাজার ৯২৯ জন গ্রাহক বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছিলেন। এতে পুরো দুই দিন অন্ধকারে ছিলেন ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় এলাকার গ্রাহকরা। এরপর ধীরে ধীরে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে আসে। ঝড়ে প্রাথমিকভাবে ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানানো হলেও বাস্তবে ক্ষতির পরিমাণ গিয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৮ কোটি টাকায়।
আরইবি জানায়, পল্লী বিদ্যুৎ যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ সেবা দিয়ে আসছে সেগুলো গ্রামীণ এলাকা হওয়ায় বিতরণ লাইনের ওপর গাছপালা বেশি থাকে। নিয়মিত এসব গাছের ডাল কেটে পরিষ্কার রাখা হলেও একেবারে গাছ কেটে ফেলা যায় না। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে অসন্তোষ দেখা যায়। ঝড় হলে লাইনের ওপর গাছ পড়ে তার যেমন ছিঁড়ে যায়, আবার বিদ্যুতের খুঁটিও ভেঙে যায়। মূলত এই কারণেই ক্ষতির মাত্রা বেশি হয়।
0Share