সব কিছু
facebook lakshmipur24.com
লক্ষ্মীপুর বৃহস্পতিবার , ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ভুলুয়া নদীর জলাবদ্ধতা নিয়ে লক্ষ্মীপুর সরব হলেও নিরব কেন নোয়াখালী ?

ভুলুয়া নদীর জলাবদ্ধতা নিয়ে লক্ষ্মীপুর সরব হলেও নিরব কেন নোয়াখালী ?

0
Share

ভুলুয়া নদীর জলাবদ্ধতা নিয়ে লক্ষ্মীপুর সরব হলেও নিরব কেন নোয়াখালী ?

সানা উল্লাহ সানু |  আগষ্ট ২০২৪। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস কিংবা এশিয়ার জিওপলিটিক্সে নতুন ঐতিহাসিক মাস। এ মাসের বন্যাও দেশের ইতিহাসে চির স্মরণীয় দুর্যোগ হিসেবে স্থান পেয়েছে। এ দুর্যোগকে ফেনীর বন্যা নামে ডাকা হলেও এর বিস্তৃতি ছিল ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা এবং লক্ষ্মীপুর জেলাব্যাপি।

৫ই আগষ্টের এক ঐতিহাসিক ঘটনার পর ৮ আগষ্ট দেশে নতুন অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার আসে। তখনো টালমাটাল ছিল পুরো দেশ। ২০ আগষ্ট ২০২৪। মধ্য রাতে ভারত তাদের উজানের ত্রিপুরা রাজ্যের দুটি নদী বাঁধের জলকপাট খুলে দেয়। হুহু করে পানি আসতে শুরু করে ভাটি অঞ্চল বাংলাদেশে। সাথে আকাশ থেকেও নামে ভারী বৃষ্টি।

কয়েক ঘন্টার মধ্যে বাংলাদেশের ফেনী জেলার সব ইউনিয়ন এবং কুমিল্লা জেলার অধিকাংশ এলাকা পানিতে ডুবে যায়। শুরু হয় এক মানবিক বিপর্যয়। বন্যার ভয়াবতা এমন ছিল যে, ফেনী জেলার সকল একতলা বাড়ি ডুবে যায়। ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কের ওপর দিয়ে নৌকা চলাচল শুরু করে। মৃত্যুর সংখ্যা মাত্র ৭৬ হলেও রাজনৈতিক এবং ভৌগোলিক কারণে এ বন্যা বিশ্ববাসীর নজর কাড়ে, ইতিহাসে স্থান করে নেয়।

২২ আগষ্ট ২০২৪। ফেনীর বন্যার জল আসতে করে নোয়াখালীতে। ডুবতে থাকে পুরো নোয়াখালী জেলা। ২৪ আগষ্ট রাত থেকে লক্ষ্মীপুরের পূর্বাঞ্চল ডুবে যায়। ২৬ আগষ্ট থেকে লক্ষ্মীপুরের অবস্থা হয় গুরুতর।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে ফেনী বন্যামুক্ত হয়। নোয়াখালীতেও কমে বন্যার পানি। কিন্ত লক্ষ্মীপুরে বন্যার পানি এসে আটকে যায়। আমরা যখন এ রিপোর্ট আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি, তখন ক্যালেন্ডারের পাতায় আজ ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪। এ একমাস পরেও লক্ষ্মীপুরের বহু মানুষ এখনো আশ্রয় কেন্দ্রে। অথচ লক্ষ্মীপুর জেলা সীমানার ৫০ কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে মেঘনা নদী। রয়েছে ছোট বড় শতাধিক খাল। কিন্ত লক্ষ্মীপুর জেলা থেকে বন্যার পানি যেন কমছেই না ?

আমাদের আজকের অনুসন্ধান লক্ষ্মীপুর থেকে বন্যার পানি নামছে না কেন ? কোথায় রয়েছে সমস্যা? এ সমস্যা কি শুধু লক্ষ্মীপুরের একা?

শুরুতেই আমরা জানতে চাই লক্ষ্মীপুরে আসলে কখন বন্যা শুরু হয় ? আমরা আগেই বলেছি ২৪ আগষ্ট তারিখ রাতে কোন বৃষ্টিপাত ছাড়াই লক্ষ্মীপুরের পূর্বাঞ্চলে বিভিন্ন বাড়ি ঘরে পানি উঠে। নোয়াখালী থেকে আসে সে পানি। সেটাই ছিল দৃশ্যমান বন্যা।

কিন্ত প্রকৃত পক্ষে লক্ষ্মীপুরে বন্যা শুরু হয় মূলত ২২ জুলাই ২০২৪ তারিখ থেকে। জুলাই মাসের বৃষ্টিতে লক্ষ্মীপুর জেলার চর রমিজ, চর বাদাম, চর কাদিরা, নোয়াখালীর আন্ডারচর, চর কাউনিয়া এলাকার বেশির ভাগ এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়। কৃষকদের সকল ফসল নষ্ট হয়ে যায়। সেখানে তীব্রজলাবদ্ধতা তৈরি হয়। দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে গণমাধ্যমে বিষয়টি সে ভাবে আসেনি।

তবে ১০ আগষ্ট ২০২৪, ইংরেজি দৈনিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পরিস্থিতির ভয়াবহতা তুলে ধরে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যাতে ২২ জুলাই থেকে এ অঞ্চলে তীব্র জলাবদ্ধতার চিত্র উঠে আসে।

রামগতি আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে ২২ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত শুধু লক্ষ্মীপুরে বৃষ্টি হয় ৪৭৯.৬ মিলিমিটার এবং আগষ্ট মাসে ১২০৭.৪ মিলিমিটার। ফলে বিপুল পরিমাণ বৃষ্টির পানি দ্রুত নামতে না পেরে শুরু হয় জলাবদ্ধতা।

জলাবদ্ধতা থেকে পরবর্তীতে নজিরবিহীন বন্যার সাথে উঠে আসে ভুলুয়া নদীর দুতীরের লাখো মানুষের দুর্ভোগের কথা।

লক্ষ্মীপুরে বন্যার সংবাদ প্রকাশের শুরু থেকেই ভুলুয়া নদীর পশ্চিম তীরের চর কাদিরা, চর রমিজ, চর বাদামের ভয়াবহতার কথা বারবার গণমাধ্যমে প্রকাশিত হতে থাকে।

কিন্ত লক্ষ্মীপুরের চিত্র ফুটে উঠলেও নোয়াখালীর আন্ডার চর, চর কাউনিয়া, চর মটুয়ার কোন দৃশ্য গণমাধ্যমে উঠে আসেনি। মূলত তাদের দুর্ভোগও ভুলুয়া নদীর সাথে একই সূত্রে গাথাঁ ছিল। হয়তো সেটা ছিল গণমাধ্যমের ব্যর্থতা।

কাঁথা সেলাইয়ের মতোই আঁকাবাঁকা পথে নোয়াখালীর সাথে লক্ষ্মীপুরকে যুক্ত করেছে ভুলুয়া নদী | লাখো মানুষের জলেবন্দি জীবনও একই সূত্রে গাঁথা। কিন্ত আমরা দেখেছি ভুলুয়ার সমস্যা নিয়ে লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগরের মানুষ খুব সোচ্চার হলেও নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর সদরের মানুষ বিষয়টি এড়িয়ে যায়। তাই দীর্ঘ বহু বছর ধরে এ সমস্যাটি কারণ খুঁজে দেখা হয়নি।

আসলে ভুলুয়ার সমস্যা শুধু লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগরের সমস্যা না। এ সমস্যা নোয়াখালী সদর, সুবর্ণচর এবং লক্ষ্মীপুর সদরসহ ২ জেলার ৫ উপজেলার ২০টি ইউনিয়নের ৩ লাখ মানুষের সমস্যা। যাদের জীবনের নানা দিকে ভুলুয়া নদীর অববাহিকার প্রভাব রয়েছে।

লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীর কিছু অঞ্চলে বন্যা ও জলাবদ্ধতার মূল কারণ ভুলুয়া নদীতে হাজার হাজার দখল এবং নাব্যতা না থাকা। রামগতির আজাদনগর এলাকায় ভুলুয়া নদীর পানি প্রবাহ পুরোপুরি আটকে দেয়া হয়েছে।

শুধু এ একটি এলাকার কারণে শুধু রামগতি, কমলনগর না বরঞ্চ নোয়াখালীর সুবর্ণচর, নোয়াখালী সদর উপজেলা এবং লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বিশাল জনগোষ্ঠী দীর্ঘ প্রায় ২ মাসের বেশি সময় যাবত পানিতে বন্দি হয়ে দুর্বিশহ জীবন যাপন করছে। কিন্ত স্থানীয় জনগণের ধারণার অভাব, প্রশাসনের অসহযোগিতা এবং নোয়াখালীর স্থানীয় সাংবাদিকদের দৃষ্টি না থাকায় এত বড় একটি সমস্যাকে শুধুমাত্র লক্ষ্মীপুরের চর কাদিরা কিংবা চরপোড়াগাছার সমস্যা হিসেবে জেনেছে দেশের মানুষ। এবং চোখ বন্ধ করে পানি সহ্য করেছে ২ জেলার লাখো মানুষ।

সমস্যাটি বুঝতে হলে সবার আগে আমাদের জানেত হবে ভুলুয়া নদীর শুরু এবং শেষ কোথায়?

১। লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর রমিজ ইউনিয়নের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের সামনের মেঘনা নদী থেকেই ভুলুয়া নদীর জন্ম। জন্মের পরপরই মা মেঘনার কোল থেকে নেমে ভুলুয়া নদী টানা পূর্বদিকে প্রায় ৬ কিলোমিটার হেটে পৌঁছে গেছে নোয়াখালীর জেলার সুবর্ণচর উপজেলার চর জুবলী ইউনিয়নে।

২।
চর জুবলী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের চর জিয়া উদ্দিন কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে থেকে উত্তর দিকে এসে হাজী সানা উল্লাহ মাদরাসার সামনে থেকে সামান্য পশ্চিম দিকে সরে আকাঁবাঁকা পথে আবারো উত্তর দিকে হাটতে শুরু করে ভুলুয়া।

৪।
এ চলার পথে ভুলুয়া এবার নোয়াখালী থেকে লক্ষ্মীপুরের দিকে আসতে শুরু করে। রামগতির চর আফজল এলাকার কারীর গোজার মাত্র আধা কিলোমিটার পূর্বে সুবর্নচর উপজেলার জনতাবাজারের দক্ষিণে এসে ভুলুয়া নদী বাঁশির মতো একটি বাঁক নিয়ে আবারো পূর্বে গিয়ে উত্তর দিকে মুখ করে হাটা শুরু করে।

এ যাত্রায় ইমান আলী বাজার ও চর পোড়াগাছা ইউনিয়নের পূর্ব সীমানা ধরে উত্তর পশ্চিম দিকে আসে ভুলুয়া। আকাঁবাকাঁ পথে হেলে দুলে ভুলুয়া নদী আজাদনগর স্টীলব্রিজে এসে উত্তর পশ্চিম দিকে চর বাদাম ইউনিয়নে প্রবেশ করে। এরই মধ্যে আজাদনগর স্টীল ব্রীজ থেকে কোডেক বাজার এলাকায় স্থানীয় দখলবাজরা ভুলুয়া নদীর কোমর ভেঙে ফেলে। ভুলুয়া চরম আহত হয়। গলায় ক্যান্সার হয়। পানি গিলাতে বাঁধা তৈরি হয়।

৫।
আহত ভুলুয়া চর বাদাম থেকে ক্রমান্বয়ে পশ্চিম দিকে হাটতে হাটতে চর কাদিরায় প্রবেশ করে। আকাঁবাঁকা পথে
হেলেদুলে চলতে গিয়ে ফজুমিয়ারহাটের পূর্ব দিক দিয়ে প্রায় ১ কিলোমিটার উত্তরে চলে আসে।

তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের ইসলামগঞ্জ বাজারের পূর্বে এসে ভুলুয়া এবার পুরোপুরি পূর্ব দিকে ছুটে চলে নোয়াখালী সদর উপজেলায় প্রবেশ করে। নোয়াখালীর আন্ডার ইউনিয়নের বাংলাবাজার পর্যন্ত গিয়ে এবার উত্তরে ছুটে যায় ভুলুয়া। বাংলা বাজার থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার উত্তরের ভিটিরবাপের খেয়া এলাকায় গিয়ে পশ্চিমে বাঁক দিয়ে ২শ মিটার প্রবেশ করে। সেখান থেকে আবারো উত্তর পূর্বে ছুটে চলে।

৬।
উত্তর পূর্বে চলার পথে ভুলুয়া নোয়াখালীর সদর উপজেলার চর কাউনিয়া ইউনিয়নের উত্তর সূর্য নারায়নপুর বহর গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে ভুলুয়ার একটি শাখা সোজা দক্ষিণ পূর্বে নোয়াখালীর দিকে ছুটে যায়। শাখাটি নোয়াখালীর কালার দ্রুপ ইউনিয়ন এবং করমুল্লা বাজার হয়ে নোয়াখালীর এজবাওলিয়া ইউনিয়নের মধ্য এজবাওলিয়া গ্রামে গিয়ে শেষ হয়।

৭।
চর কাউনিয়া ইউনিয়নের উত্তর সূর্য নারায়নপুর বহর গ্রামে পড়ে থাকা ভুলুয়া উত্তর পশ্চিম দিকে আকাঁবাঁকা হয়ে ফরিদাবাদ চন্দ্রভল্লব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে পূর্ব দিকে এসে চর মটুয়া ইউনিয়নের উদয়সাধুর হাটে গিয়ে মিলিত হয়।

৮।
ফরিদাবাদ চন্দ্রভল্লব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে আরেকটি প্রান্ত পশ্চিম দিকে আকাবাক পথে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পুকুরদিয়া বাজারে এসে দুটি ধারায় বিভক্ত হয়।

একটি ধারা পুকুরদিয়া বাজার হতে উত্তরে চলে কুশাখালী বাজার হয়ে সোজা উত্তর দিকে কাঠালী হয়ে দিঘলী ইউনিয়ন পরিষদের সামনে দিয়ে গিয়ে ওয়াপদা খালে মিলিত হয়।

৯।
অপর প্রান্ত পুকুরদিয়া বাজার থেকে পশ্চিম দিকে গিয়ে তৈয়ুব চৌধুরীর পুলের গোড়ার ওপর দিয়ে পুরাতন তেয়ারিগঞ্জ বাজার হয়ে হোসেনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে তেয়ারিগঞ্জের বারাইপুর এলাকায় ওয়াপদা খালের সাথে মিলিত হয়।

১০।
অন্য মাথা হোসেনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে দক্ষিণ পশ্চিম দিয়ে সরে আসে। এটি ভবানীগঞ্জ কলেজের দক্ষিণ পাশ দিয়ে রামগতি-লক্ষ্মীপুর সড়কের পাশ বরাবর তোরাবগঞ্জে এসে মুছার খালের সাথে মিলিত হয়।

লক্ষ্মীপুরের রামগতি থেকে ছুটে আসা ভুলুয়া নদী নোয়াখালীর সুর্বণচর, নোয়াখালী সদর, লক্ষ্মীপুরের রামগতি, কমলনগর এবং লক্ষ্মীপুর সদর সহ দুটি জেলার পাঁচটি উপজেলাকে নকশী কাঁথার সেলাইয়ের মতোই সেলাই করে একত্রিত করেছে। এ নদী চলার পথে তার দুতীরে বিভিন্ন শাখায় বিভক্ত হয়ে দুটি জেলার অন্তত ২০টি ইউনিয়নকে সংযুক্ত করেছে।

চর কাদিরা, চর পোড়াগাছা ও চর বাদাম দীর্ঘদিন পানিতে বন্দি থাকার কারণ হচ্ছে অন্যান্য এলাকার তুলনায় এ তিনটি ইউনিয়ন ভাটিতে অবস্থিত।

সোজা কথা বলতে গেলে অন্য এলাকাগুলোর তুলনায় এ তিনটি ইউনিয়নের ভূমি নিচু। বন্যা ও বৃষ্টির অতিরিক্ত পানি লক্ষ্মীপুর সদর এবং নোয়াখালী সদর এবং সুবর্নচর থেকে বিভিন্ন শাখা প্রশাখার পানি মূল ভুলুয়া হয়ে মেঘনায় নেমে যাওয়ার কথা।

কিন্ত উল্লেখিত ইউনিয়নগুলো নিচু হওয়ার কারণে লক্ষ্মীপুর সদর ও নোয়াখালী সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বিপুল পরিমাণ পানি এখানে এসে একত্রিত হয়। কিন্ত ভুলুয়ার দক্ষিণ প্রান্তে নাব্যতা না থাকায় এবং নদীতে বাঁধা থাকায় দূরদূরান্তের সে পানি চর কাদিরার দুঃখ হয়ে এখানে রয়ে যায়। ভুলুয়া পাড়ে দেখা দেয় দীর্ঘ জলাবদ্ধতা। নোয়াখালী সদর ও লক্ষ্মীপুর সদরের বিপুল পানি প্রবেশ করলেও ভুলুয়া বলতে আমরা আপনারা বুঝি শুধু চর কাদিরা কিংবা চর পোড়াগাছার কথা।

কিন্ত ভুলুয়া নিয়ে জানা তো হলো বহু কিছু। তাহলে সমাধান কোথায়?

প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে আজাদনগর এলাকায় নদীর দখলমুক্তকরণসহ নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে হবে।

ভুলুয়া ও এর সকল শাখা প্রশাখায় পানির প্রবাহ আটকিয়ে মাছ ধরা আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করতে হবে।

রামগতি থেকে নোয়াখালীর বাংলাবাজার পর্যন্ত নদীটি ড্রেজিং করে নিয়মিত জোয়ারভাটা আনতে হবে।

জোয়ারে পলিমাটি ক্ষেতে জমা হলে এলাকার মাটিস্তর উচু হবে এবং মানুষের বসবাসের জন্য উপযুক্ত হবে । অন্যদিকে এ অঞ্চলে ক্ষেতের মাটি কেটে ক্ষেত নিচু করা বন্ধ করতে হবে।

সবশেষ কথা হচ্ছে এ নদীর অববাহিকা অঞ্চলে লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালী জেলার পাঁচটি উপজেলা জড়িত , তাই ভুলুয়ার যে কোন উন্নয়ন করতে হলে লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালী জেলাকে যৌথ উদ্যোগ নিতে হবে। যে কোন একটি জেলার একক পদক্ষেপ ভুলুয়ার কোন উপকারে আসবে না।

লেখক; সানা উল্লাহ সানু, সম্পাদক, লক্ষ্মীপুর২৪ এবং লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড

প্রতিবেদন আরও সংবাদ

৩ মাস পরেও সুজনের শরীরে রয়েছে ৭ বুলেট, চিকিৎসা বন্ধ

ভুলুয়া নদীর জলাবদ্ধতা নিয়ে লক্ষ্মীপুর সরব হলেও নিরব কেন নোয়াখালী ?

মেঘনা নদীতে বেপরোয়া জলদস্যুরা; এক মাসের ব্যবধানে অন্তত ২৫ জাহাজে ডাকাতি

এক মেশিনেই ৮০ রোগের চিকিৎসা দেন রায়পুরের আবু তাহের সিদ্দিক !

লক্ষ্মীপুরের নারী ও কিশোরীদের হাতে তৈরি ৫কোটি টাকার টুপি রপ্তানি হয় মুসলিম বিশ্বে

লক্ষ্মীপুর থেকে নোয়াখালী পর্যন্ত মেঘনা নদীতে ১৬ চর | কমেছে ইলিশ; নদীপাড়ের মন্দার প্রভাব

লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোর বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ে অনলাইন নিউজপোর্টাল প্রকাশনার নিবন্ধনের জন্য আবেদনকৃত, তারিখ: 9/12/2015  
 All Rights Reserved : Lakshmipur24 ©2012- 2024
Editor & Publisher: Sana Ullah Sanu
Ratan Plaza(3rd Floor), ChakBazar, Lakshmipur, Bangladesh.
Ph:+8801794822222, WhatsApp , email: news@lakshmipur24.com