সানা উল্লাহ সানু : চলতি কোরবানি মৌসুমে লক্ষ্মীপুর জেলায় কোরবানির উপযোগী পশুর সংখ্যা ১ লাখ ৩৯ হাজার। যার মধ্যে ষাড়, বলদ ও গাভীর সংখ্যা ৪৮ হাজারের সামান্য বেশি। তবে মহিষের সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। এমন তথ্য জানিয়েছে লক্ষ্মীপুর প্রাণী সম্পদ বিভাগ।
প্রাণী সম্পদের হিসেবে জেলায় মহিষের উৎপাদন গরুর চেয়েও বেশি। কিন্ত সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে এবং স্থানীয়দের সাথে কথা বলে এ তথ্যের কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি।
লক্ষ্মীপুর জেলার সবচেয়ে বড় পশুরহাট রায়পুর উপজেলার মোল্লারহাট বাজার। মোল্লারহাট বাজারে হাটের দিন অন্তত ১০-১৫ হাজার পশু হাটে আসে। স্থানীয় বাসিন্দা নিজাম উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার সে বাজারে ১০-১৫ হাজার পশু উঠলেও মহিষ দেখা গেছে মাত্র ২০-৩০ টা।
অন্যদিকে রামগতি উপজেলার বাসিন্দা মিশু সাহা নিক্কন জানান, রামগতি বাজারে ২-৩ হাজার পশু আসলেও মহিষ আসে ৫-১০ টা।
কমলনগর উপজেলার বড় পশুরহাট তোরাবগঞ্জ বাজার। তোরাবগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা মোঃ আবদুল লতিফ মন্টু বলেন, তোরাবগঞ্জ বাজারে প্রতিহাটে ২-৩ হাজার গরু ও ছাগল উঠলেও মহিষ একটাও পাওয়া যায়নি।
লাইভস্টোক সার্ভিস প্রোভাইডার-এলএসপির লক্ষ্মীপুর জেলা সভাপতি মোঃ আলা উদ্দিন জানান, লক্ষ্মীপুর জেলার মধ্যে প্রায় ২০টি চর রয়েছে। এসব চরে মহিষ পালন করা হয়। তবে কোরবানির জন্য বাজারে তেমন বেশি সংখ্যক মহিষ বিক্রি হতে দেখা যায়নি।
কমলনগর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ ঈসমাল হোসাইন জানান, চলতি কোরবানি মৌসুমে কমলনগরে কোরবানির জন্য ৩শ মহিষ প্রস্তত রয়েছে।
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. কুমুদ রঞ্জন মিত্র বলেন, চলতি মৌসুমে লক্ষ্মীপুর জেলায় কোরবানীর জন্য পশুর চাহিদা রয়েছে ৮৮ হাজার ২শ টি। তবে এবার জেলায় কোরবানীর জন্য পশু প্রস্তুত রয়েছে ১ লাখ ৩৯ হাজার । যা চাহিদার তুলনায় প্রায় ৫১ হাজার পশু বেশি। কিন্তু মোট পশুর মধ্যে ৪৯ হাজার ৭শ ৭৮টি মহিষ রয়েছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
0Share