সানা উল্লাহ সানু: কমলনগরে ৮৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই শহীদমিনার। অনেক স্থানে কলাগাছের শহীদ মিনারেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পুষ্পমাল্য অর্পন হয়। বিভিন্ন শিক্ষা অফিস ও প্রতিষ্ঠান প্রধানের সুত্রে জানা যায়, কমলনগর উপজেলায় প্রাথমিক, নিন্ম মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং ডিগ্রী (ফাজিল) পর্যায়ের সরকারী, বেসরকারী এবং রেজিঃ কিংবা কমিউনিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মিলে সর্ব মোট ৯৬ টি রয়েছে। যার মধ্যে ইবতেদায়ী মাদ্রাসা ২ টি, রেজিষ্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় ২৯ টি, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৩৭টি, মাধ্যমিক ৯টি, নিন্ম মাধ্যমিক ৫টি এবং দাখিল, আলিম ও ফাজিল মাদরাসা ১৪ টি। এদের মধ্যে শহীদ মিনার আছে চর মার্টিন নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, তোরাবগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়, চরলরেঞ্চ উচ্চ বিদ্যালয়, উপকুল কলেজ, হাজিরহাট মিল্লাত একাডেমি,চর জাঙ্গালিয়া এস সি উচ্চ বিদ্যালয় এবং তোয়াহা স্মৃতি বালিকা বিদ্যালয়সহ মাত্র ৭ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। বাকি ৮৯ টি প্রতিষ্ঠানে কোন শহীদ মিনার নেই অথবা নেই শহীদ র্নিমাণের জন্য কোন সরকারী কিংবা বেসরকারী উদ্যোগ। ফলে এসকল প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শহীদ দিবসের পূর্ব রাতে অনেকেই তৈরি করে কলাগাছে অস্থায়ী শহীদ মিনার আর সকাল বেলায় প্রভাতফেরির পূর্বে পুষ্পমাল্য দিয়ে নিবেন করে শহীদদের প্রতি তাদের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা। উপজেলার কোন প্রাথমিক বিদ্যালয় কিংবা মাদরাসা চত্বরে ভাষা দিবসের ৬০ বছরে ও র্নিমাণ হয়নি শহীদ মিনার । লক্ষ্মীপুর টুয়েন্টিফোর ডটকমসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের পর গত বছর ৫২’র ভাষা সৈনিক লক্ষ্মীপুরবাসী গর্ব কমলনগরের কৃতি সন্তান কমরেড তোয়াহার নামে প্রতিষ্ঠিত তোয়াহা’র স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠা হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে শহীদ মিনার ছাড়া কিভাবে কোমলমতি শিশুদের কে ভাষার গুরুত্ব বুঝানো হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে, জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাষ্টার মফিজ উল্লাহ বলেন, শুধু প্রাথমিক নয় উপজেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অতিদ্রুত সরকারী কিংবা বেসরকারী ভাবে শহীদ মিনার স্থাপন করা জরুরী নতুবা আমরা সত্যিকার অর্থে ভাষার স্বাধীনতা বুঝতে সক্ষম হব না। আর কোমলমতি শিশুদের কে ভাষার গুরুত ও সহজে বুঝাতে পারব না। অন্যদিকে শহীদ মিনারের বর্তমান অবস্থা সর্ম্পকে কমলনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ বলেন, যে ভাষা সৈনিকদের কে নিয়ে আমরা বক্তৃতিতার রাজনীতি করি অথচ সেই ভাষা সৈনিক মোহাম্মদ তোয়াহা’র নামে প্রতিষ্ঠিত একটি বালিকা বিদ্যালয়েও গত ২০ বছরে ১টি শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠিত হয়নি যা আমাদের জাতির জন্য অত্যন্ত লজ্জ্বার বিষয় ছিল। উপজেলাবাসীর প্রত্যাশা আগামী বছর ভাষা দিবসের আগেই কমলনগরের প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কলাগাছের পরিবর্তে সত্যিকার শহীদমিনারে ফুল দিবে।
0Share