তাবারক হোসেন আজাদ, রায়পুর: চারপাশে ময়লা আবর্জনা আর দূর্গন্ধময় পরিবেশ এবং জবরদখলকারীদের আক্রোশের তীব্র দৃষ্টির মাঝে অনেকটা যেন অসহায় জরাজীর্ন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ভাষা আন্দোলনের সময় র্নিমিত রায়পুরের ঐতিহাসিক কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি।
শহরের প্রাণকেন্দ্র এবং রায়পুর-চাঁদপুর মহাসড়কের পাশে অবস্থিত শহীদ মিনারটি বিগত বছরে স্থানীয় সংবাদকর্মী ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপে নিশ্চিহ্ন হওয়া থেকে বেঁচে যাওয়া এ শহীদ মিনারটি দেখভালের জন্য রায়পুর কামিল (আলীয়া) মাদ্রাসার নিকট হস্তান্তর করা হলেও চরম উদাসীনতায় এটি এখনো অসম্মানজনক অবস্থাতেই ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।
এ ছাড়াও শহীদ মিনারটিকে ঘিরে চারপাশে গড়ে তোলা হয়েছে বেশ কিছু দোকান দোকানপাট।
স্থানীয়দের অভিযোগ উপজেলা পরিষদের সম্মুখে একটি শহীদ মিনার নির্মাণ হওয়ায় এটিকে এখন আর আগের মতো গুরুত্ব দিচ্ছেনা স্থানীয় প্রশাসন ও পৌরসভা। কিন্তু আগে তারা এটি দেখভাল করলেও এখন সেক্ষেত্রে শিথিলতা এসেছে বলেও অভিযোগ তাদের।
বিগত সময়ে কয়েক দফা শহীদ মিনারটি ভেঙ্গে তা দখল করে মার্কেট নির্মাণের প্রচেষ্টাও চালিয়েছে শহীদ মিনারের পিছনে থাকা জমির মালিকরা। ওই সময় এ শহীদ মিনারটি কে বাচাঁনোর আকুতি জানিয়ে লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোর ডটকম একটি সংবাদ প্রকাশ করলে প্রশাসনের টনক নড়ে। পরে প্রশাসনের চাপে জবরদখল চেষ্টাকারীরা শহীদ মিনারটি পুন: নির্মাণ করে দিতে বাধ্য হয়।
পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ শহীদ মিনারটি তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দেওয়া হয় রায়পুর কামিল মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের নিকট। অথচ এ বছর ভাষার মাসেই দেখা যায় শহীদ মিনার টি ময়লার রোগে আক্রান্ত। বিষয়টি নিয়ে রায়পুর কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাও. মুনছুর আহম্মদ কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, শহীদ মিনারটি আমাদের দায়িত্বে থাকায় তা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
0Share