জামাল উদ্দিন রাফি: সবারই মাঝেমধ্যে মন খারাপ হয়ে থাকে ।আর এটা খুব স্বাভাবিক প্রবণতা। কেউ কেউ মন খারাপ করে শুধু বিছানায় শুয়ে থাকেন, এদিক ওদিক করেন, কিছুই যেন ভাল লাগে না। অনেকে বেশি বেশি মজার খাবার খেয়ে মন ভালো করতে চায়।
আবার বর্তমান পরিস্থিতিতে আপনার মন খারাপ থাকলেও তা প্রকাশ করার কোনো সুযোগ থাকেনা। কেননা কেবল কাজ আর কাজ, অফিসে কাজ, বাইরে কাজ, বাচ্চাকে দেখা, রান্নার কাজ, এত এত কাজের মধ্যে মন খারাপ করার সময় কোথায়?
তাই, আমরাতো মন খারাপ করতে পারিই না উল্টো মনটাকে শক্ত রাখতে হয়, থাকতে হয় প্রফুল্ল আর আনন্দ চিত্তে। নিজের মনটাকে কিভাবে ভালো রাখা যায় সেটা ভাবিনা।
তাই বলা যায় মন খারাপ হলে যেতে পারেন লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের মেঘনার তীরে (মতির হাটে)। পেতে পারেন খোলা হাওয়ার হিমেল পরশ। দেখতে পারেন নীল আকাশে আর নদীর ঢেউ। একটু বিকেল করে নদীর পাড়ে গেলেতো দেখবেন গোধুলী। থাকবেনা আর মন খারাপ। মন হবে প্রফুল্ল আর আনন্দময়।
সমুদ্র সৈকতের আবহাওয়া পাওয়া যাবে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের মতির হাট জায়গাটিতে। বিশেষ করে বর্ষাকালে দিগন্ত বিস্তৃত পানি আর পানির ঢেউ আপনাকে ভুলিয়ে দেবে মনের সকল কষ্ট। শরৎকালে আকাশের উপরে মেঘের খেলা আর নিচে ছলছলে পানি আপনার মনকে করে তুলবে আনন্দিত। আপনি মন ভরে উপলব্ধি করতে পারবেন সৌন্দর্যের মোহনীয়তা।
আপনি চাইলে এই মতির হাটের মেঘনা নদীতে নৌকা ভ্রমণও করতে পারবেন। নৌকা ভ্রমণে আপনার মন আরও অনেক বেশি সতেজ হয়ে পড়বে। দেখবেন মন কখন যে ভালো হয়ে গেছে আপনি নিজেও জানেন না।
কাজের ভারে বুকে চাপ লাগছে, নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে? অথচ কাজগুলো শেষ করতেই হবে, তাই না? ঠিক আছে যখন মন খারাপ থাকে, তখন আপনার উচিত একটু ঘুরে আসা।
আর সেই ঘুরাটা যদি হয় হিমেল বাতাসের পরশ ছোঁয়া তাতে থাকবেনা আর মনের কষ্ট। ভালো লাগবে কাজ করতে। মন বসবে কাজে।
যখন মন খারাপ থাকে, তখন হয়ত আপনি প্রায়ই বলে থাকেন: সব কিছু এলোমেলো, ভাগ্যটাই অনেক খারাপ’। এভাবে যদি চিন্তা করতে থাকেন তো, আপনার মন আরও খারাপ হয়ে যাবে।
এ রকম সময় আপনি বলার ধরনটা পরিবর্তন করতে পারেন। আপনি হয়তো বলতে পারেন যে, কিছু কাজ ভালো করেছি, কিছু ভালো হচ্ছে না। এভাবে নিজেকে মূল্যায়ন করলে মন খারাপের চাপ কিছুটা হলেও কমে আসবে।
0Share