লক্ষ্মীপুরে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। এ সময় অন্তত আরো ২২ জন গুরুত্বর আহতাবস্থায় লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সোমবার (২১ জানুয়ারি) সকালে সদর উপজেলার যাদৈয়া এলাকার ঢাকা-রায়পুর আঞ্চলিক মহাসড়ক ও পৌরসভার টুকা মিয়া রাস্তার মাথা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত কাজী সিরাজ উদ্দিন (৪৫) কমলনগর উপজেলার চরজাঙ্গালিয়া গ্রামের আবদুল মতিনের ছেলে ও সদর উপজেলার স্বাস্থ্য বিভাগের পরিদর্শক।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন, মো. নিজাম উদ্দিন, রোকেয়া, নাজমা বেগম, আব্দুল্যাহ রাহাত, দুলাল মিয়া, আবুল বাশারসহ অন্তত ২২ জন। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, সকালে পৌরসভার টুকা মিয়ার রাস্তার মাথা এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা খাদে পড়ে যায়। এতে গুরুত্বর আহত হন যাত্রী কাজী সিরাজ উদ্দিন। পরে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। অন্যদিকে নোয়াখালীর চৌমুহনী থেকে ছেড়ে আসা আনন্দ পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা মেট্রো-জ : ১১-০৭২৯) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার যাদৈয়া এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। বিপরীত দিক থেকে আসা মোটরসাইকেল আরোহীকে বাঁচাতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ও চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশ উদ্ধার অভিযান চালায়। পরে আহত অবস্থায় অন্তত ২২ জন যাত্রীকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অটোরিক্সা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ার ঘটনায় সদর উপজেলা হেল্থ ইনস্পেক্টর কাজী সিরাজ উদ্দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। অপর দুর্ঘটনায় আরো ২২ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহান খান বলেন, ঢাকা-রায়পুর আঞ্চলিক মহাসড়কের যাদৈয়া এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আনন্দ পরিবহণের একটি বাস খাদে পড়ে অন্তত ২২ জন যাত্রী আহত হয়।
আহতদের উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাসটি উদ্ধার অভিযান চলছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
0Share