লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় ৪র্থ শ্রেনীর এক মাদ্রাসার ছাত্র (৯) নিহত ও ট্রলি চালক (৩৮) সরকারী হাসপাতালে মৃত্যু শয্যায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দুপুরে চরআবাবিল ইউনিয়নের মডেল কলেজের সামনে ও হায়দরগঞ্জ বাজারে। শিশু সন্তানকে হারিয়ে অভিভাবক, স্বজন ও মাদ্রাসার সহপাঠীদের কান্নায় বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে।
নিহত মাদ্রাসার ছাত্র মোঃ আব্বাস দক্ষিন চর আবাবিল ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড বালুধুম গ্রামের প্রিন্সিপাল আব্দুল জাব্বার সাহেবের বাড়ীর দিনমজুর মোসলেহ উদ্দিনের ছেলে ও হায়দরগঞ্জ তাহেরীয়া কামিল মাদ্রাসার ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্র এবং আহত ট্রলি চালক মোঃ সামছুদ্দিন ১০ নং রায়পুর ইউনিয়নের দেবীপুর গ্রামের মোবারক মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দাখিল পরীক্ষার কেন্দ্রের কারণে দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত শ্রেনী কার্যক্রম থাকায় দুপুর ১২টায় শিশু আব্বাস মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে হায়দরগঞ্জ মডেল কলেজের সামনে পোঁছে। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা চরআবাবিল ইউপি চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিনের ছেলে মডেল কলেজের প্রভাষক মাইনুল ইসলাম ফরহাদের মটরসাইকেলের চাপায় পড়ে শিশু আব্বাস ঘটনাস্থলে নিহত হয়।
একই সময় হায়দরগঞ্জ বাজার দিয়ে চরআবাবিল এলাকায় যাওয়ার পথে বাঁশবাহী ট্রলি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে চালক সামছুদ্দিন গুরুতর জখম হয়। এসময় স্থানীয় লোকজন সামছুদ্দিনকে উদ্ধার করে রায়পুর সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করান। এতে তার মাথা, পাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ক্ষত হয়।
এই ঘটনায় দক্ষিন চরআবাবিল ইউপি চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন বলেন, দুপুর ১২ টায় বাড়ীতে মাদ্রাসা যাওয়ার পথে বাইসাইকেল আরোহী আব্বাস বিপরীত দিক থেকে আসা তার বন্ধু একই এলাকার বাইসাইকেল আরোহী নাহিদের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় আব্বাস সড়কে পড়ে যাওয়ায় গেছে বিপরীত দিক থেকে নিহত শিশুর শোকাহত পরিবারের সাথে আমি নিজেই শোকাহত। শিশুর পরিবারে প্রতি আমিসহ মাদ্রাসার শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সদস্যরা সমবেদনা জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় রায়পুর থানার ওসি একেএম আজিজুর রহমান মিয়া জানান, ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলে মডেল কলেজের শিক্ষকের মটরসাইকেলের চাপায় পড়ে নিহত শিশুর পরিবার মামলা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
0Share