ডেস্ক:সময় বেঁধে দিয়ে দেশের প্রচলিত ইটভাটাগুলো বন্ধ করে দেয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন সরকারের দুই নীতিনির্ধারক। মঙ্গলবার এক সেমিনারে অংশ নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু পরিবেশ দূষণে প্রচলিত ইটাভাটাকে দায়ী করেন। বিদ্যুৎ ভবনে বাংলাদেশে জালানি সাশ্রয় বিষয়ক এ সেমিনারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ইটভাটা বন্ধের প্রসঙ্গ তোলেন প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।
তিনি বলেন, “ব্রিক ফিল্ডগুলো পরিবেশ নষ্ট করছে। এ বিষয়ে আমাদের নজর দিতে হবে।
“আমাদের দেশের ব্রিক ফিল্ডগুলো সবই পুরনো পদ্ধতির। এগুলো এতটাই দূষণ ছড়ায় যে, যেখানে কিছুদিন ব্রিক ফিল্ড থাকে তার আশপাশের গাছে আর ফল ধরে না।”
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী নিজের সংসদীয় আসন কেরানীগঞ্জে পরিবেশের ওপর ইটভাটার নেতিবাচক প্রভাবে উদাহরণ টেনে জানান, উন্নত দেশগুলোতে এ ধরনের ব্রিক ফিল্ড তুলে দেয়া হয়েছে অনেক আগেই।
“সেখানে সিমেন্ট ও বালু দিয়ে হলো-ব্লক তৈরি হয়, যা দিয়ে ইমরাত নির্মাণ করা হচ্ছে। আমাদের নদীগুলোতে প্রচুর বালু আছে, যা এই কাজে ব্যবহার করা যাবে।”
ব্লকের উপকারিতা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বিপু বলেন, “ব্লক ইটের চেয়ে নিরাপদ এবং ওজন কম হওয়ায় নির্মাণ কাজে রডও কম লাগে। প্রচলিত ইট দিয়ে বাড়ি তৈরি করলে কিছুদিন পরেই নোনা ধরে যায়, ফলে কিছুদিন পরপরই সংস্কার করতে হয়। এছাড়া প্রচলিত ব্রিক ফিল্ডে ইট তৈরিতে প্রচুর মাটিও লাগে।”
“পুরনো ব্রিক ফিল্ড থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। এজন্য ব্রিক ফিল্ড মালিকদের একটা নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিতে হবে।”
সেমিনারে অর্থমন্ত্রী মুহিত জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যে একমত পোষণ করে বলেন, “এটার জন্য কাজ করা যায়। এজন্য জনমত সৃষ্টি করতে হবে।”
তিনি বলেন, “ব্রিক ফিল্ডগুলো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়াটা জরুরি। সময় নির্দিষ্ট করে দিয়ে ব্রিক ফিল্ডগুলো বন্ধ করতে হবে।”
পরিবেশ দুষণের অভিযোগ থাকায় অনেকদিন ধরেই পরিবেশবাদীরা দেশের প্রচলিত পদ্ধতির ইটভাটা বিরুদ্ধে কথা বলছেন।
কিন্তু দ্রুত নগরায়নের ফলে প্রচুর ইটের চাহিদা পূরণ ও বিকল্প পদ্ধতি না থাকায় এখনো প্রচলিত পদ্ধতিতেই ইট তৈরি হচ্ছে।
0Share