বুধবার কুয়েতের মিশরেফের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মানব পাচার ও অর্থ পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশের সংসদ সদস্য কাজী সহিদ ইসলাম পাপুলের জামিন আবেদন নাকচ করে দেয়। আদালত এখন থেকে পরবর্তী দুই সপ্তাহ পরে পরবর্তী শুনানির তারিখ তারিখ ধার্য করেছ। বাংলাদেশী ইংরেজী দৈনিক দ্যা বিজনেজ স্ট্যার্ন্ডাড মঙ্গলবার (১০ জুন) রাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য কাজী সহিদ ইসলাম পাপুল গত চার দিন ধরে কুয়েতের একটি কারাগারে আটক রয়েছে।
কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম ওই গণমাধ্যমকে বলেছেন, কুয়েতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস এমপি পাপুলের বিরুদ্ধে কুয়েত কর্তৃপক্ষের তদন্তে কোন হস্তক্ষেপ করবে না।
বুধবার রাষ্ট্রদূত দ্যা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এর প্রতিবেদককে বলেন, “কুয়েত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তার অভিযোগ নির্ধারণ না করা পর্যন্ত দূতাবাস গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিকে [এমপি পাপুল] কোনও সহায়তা প্রদান করবে না। এমপি পাপুল এখনও দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করেননি।
তিনি আর বলেন করেন, “কুয়েতের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের আন্ডার সেক্রেটারি খালেদ আল-জারাল্লাহর সাথে বাংলাদেশ এখনও এই বিষয়ে আলোচনা করতে পারেনি।”
কুয়েতের আরবি দৈনিক আলারাই সম্প্রতি জানিয়েছে যে কুয়েতের পাবলিক প্রসিকিউশন আরও তদন্ত মুলতুবি রেখে বাংলাদেশী আইনজীবি পাপুলকে অব্যাহতভাবে আটকের নির্দেশ দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে কুয়েতের অংশীদারের সহযোগিতায় মানব পাচার, অর্থ পাচার এবং হাজার হাজার মুনি শ্রমিককে কুয়েতে আনার অভিযোগ আনা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার ইঙ্গিত করে দূতাবাসের একজন সিনিয়র সহকারী সচিব বলেছেন, “এমপি পাপুলের আইনজীবী তার ক্লায়েন্টের জন্য পরপর তিন দিন জামিনের আবেদন জমা দেন। তবে আদালত তার জামিনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে আরও দু’সপ্তাহের জন্য একটি সময় নির্ধারণ করে। শ
তিনি আরও বলেন, “এই সময়ে তিনি কারাগারে থাকবেন এবং তদন্তকারীরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাবেন।”
0Share