নিজস্ব প্রতিনিধি: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, “দুষ্কৃতিকারীরা সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় অঘটন ঘটাচ্ছে, রক্তপাত করছে—কিন্তু ধরা পড়ছে না কেন? তাদেরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না কেন? আগে তো এমনটি ছিল না। অপরাধ করার পর কয়েকদিনের মধ্যেই তাদেরকে খুঁজে পাওয়া যেত, ধরা যেত। একদিন না হোক, দুইদিন না হোক, এক মাস না হোক কিন্তু ধরা পড়েছেই তারা। আমার বিশ্বাস তারা ধরা পড়বেই।
তবে আমি পুলিশ প্রশাসনকে বলব আরও তৎপর হোন, নাহলে আপনাদের প্রতি মানুষের সন্দেহ জাগবে। আপনাদের কারণে, আপনাদের নিষ্ক্রিয়তার কারণে আজকে যদি দুষ্কৃতিকারীরা, অপরাধীরা, খুনিরা পার পেয়ে যায় তাহলে এই সমাজে, এই দেশে অন্ধকার নেমে আসবে। দেশে কোনো শান্তি থাকবে না।”
রোববার ( ২১ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে লক্ষ্মীপুরে অগ্নি দগ্ধ বিএনপি নেতা বেলাল হোসেনের বাড়ি দেখার পর আয়োজিত সমাবেশে এসব বলেন তিনি। এর আগে রাত ৯টার দিকে তিনি লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বেলালের সঙ্গে কথা বলে তার হাতে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ৪ লাখ টাকা তুলে দেন। পরে তিনি হাসপাতাল থেকে বের হয়ে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরমনসা গ্রামে বেলালের বাড়ি পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি সংক্ষিপ্ত সভায় বক্তব্য দেন। এ সময় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিসহ বিএনপির জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ঘটনার পর ২দিন অতিবাহিত হলেও বেলালের বসতঘরে কে আগুন লাগিয়েছে তা এখনো কেউ বলতে পারেনি কেউ। ঘটনার দুইদিন পার হয়ে গেলেও মামলা হয়নি। পুলিশ একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলছে দুর্বৃত্তায়ন ও মব বা তালা মেরে আগুন লাগানোর প্রমাণ পায়নি পরিবার। শনিবার পুলিশের পক্ষ থেকে এই বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার মো: আবু তারেক।
বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ জানিয়েছে, “বর্তমানে আগুন লাগা বা লাগানোর বিষয়টি নিবিড়ভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে কোনো দুর্বৃত্ত কর্তৃক ঘরের দরজায় তালা দিয়ে আগুন লাগানোর তথ্যাদি পাওয়া গেলে উক্ত বিষয়ে আইনুনাযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ বিস্তারিত জানানো হবে”।
পুলিশ সুপার জানিয়েছেন যে, এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা বাদীপক্ষ করেনি। তারপরেও বিষয়টি নিবিড়ভাবে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে”।
জানা যায়, শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গভীর রাতে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেলালের ঘরে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে তার মেয়ে আয়েশা আক্তার (৮) মারা যায়। এছাড়া বেলালসহ তার দুই মেয়ে স্মৃতি ও সামিয়া আক্তার বিথি (১৪) দগ্ধ হয়।
৯০ শতাংশ শরীর পুড়ে গিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে বেলালের বড় মেয়ে সালমা আক্তার স্মৃতি (১৭)।



0Share