অচল হওয়ার পাঁচদিন পর সচল হয়েছে লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌরুটের কলমিলতা ও কৃষাণী নামের ২টি ফেরি। শুক্রবার (২৬ জুলাই) সন্ধ্যায় ফেরি কলমিলতা যানবাহন নিয়ে লক্ষ্মীপুর থেকে ভোলার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। চলাচলের জন্য ফেরি কৃষাণীকেও প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিসি।
তবে এখনও লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরিহাট ফেরিঘাটে তিন শতাধিক যানবাহন আটকে আছে বলে খবর পাওয়া গেছে। গত ১ সপ্তাহ কিংবা তারও বেশি সময় ধরে এসব যানবাহন আটকে থাকায় চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, বন্দর নগরী চট্টগ্রাম থেকে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলায় যাতায়াতের জন্য লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌরুটটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ রুটে প্রতিদিনই মালবাহী ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, বাস ও মিনি ট্রাকসহ শতাধিক যানবাহন পারাপার হয়। তবুও দুই ঘাটে সিরিয়াল ধরে দাঁড়িয়ে থাকে আরও অন্তত ১শ’ যানবাহন। তাই নিয়মিত পারাপারেও দু’একদিন ঘাটে অপেক্ষা করতে হয় যানবাহন গুলোকে।
কিন্তু গত ২২ জুলাই সোমবার হঠাৎ করে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে অচল হয়ে পড়ে এ রুটের ২টি ফেরি। যার ফলে নিয়মিত ফেরি পারাপারে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। এতে করে লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরিহাট ও ভোলার ইলিশা ঘাটে ব্যাপক যানজট দেখা দেয়। জানা গেছে, গত ৫ দিনে উভয় ঘাটে প্রায় ১ হাজার যানবাহন আটকা পড়ে। কনকচাঁপা নামে অন্য একটি ফেরি এ রুটে নিয়মিত চলাচল করলেও যানজট কমেনি। পরে যানজট কমানোর লক্ষ্যে অস্থায়ীভাবে চাঁদপুর ফেরিঘাট থেকে কস্তুরি নামে আরও একটি ফেরি এ রুটে আনা হয়।
শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, দেশের বিভিন্নাঞ্চল থেকে আসা ছোট বড় প্রায় ৩ শতাধিক যানবাহন জেলার মজুচৌধুরিহাট ফেরিঘাটে আটকা পড়ে আছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে চালক ফজলুর রহমান ও রুবেল মিয়াসহ অনেকেই জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে তারা এ ঘাটে আটকা পড়ে আছে। থাকা-খাওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অনেকের পকেট খালি হয়ে গেছে। যার ফলে দুশ্চিন্তা রয়েছেন তারা।
এদিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) লক্ষ্মীপুর ফেরিঘাটের সহকারী পরিচালক মো. কাউছার আহমেদ বলেন, অচল ফেরি দুটি সচল হয়েছে। ইতোমধ্যে একটি ফেরি যানবাহন নিয়ে ভোলার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। অন্যটিও প্রস্তুত। শিগগিরই যানজট স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
উল্লেখ্য, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গত জুন মাসে প্রায় ১৫ দিন ফেরি কনকচাঁপা অচল ছিল।
0Share