আব্দুর রহমান বিশ্বাস: লক্ষ্মীপুরের সকল উপজেলার কঠোর শাটডাউনেও থেমে নেই একটি বাড়ি একটি খামার, ব্র্যাক, উদ্দীপনা সহ সকল ঋণদাতা সংস্থার কর্মীদের কিস্তি আদায়। বর্তমান এই পরিস্থিতে মানুষ কর্মহীন হলেও কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে বাধ্য হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার (৮ জুলাই) কমলনগর উপজেলার মার্টিন ইউনিয়নের “কাদির পন্ডিতের হাট শাখার” ব্র্যাক সেন্টারে দেখা যায় বাহির থেকে তালাবদ্ধ। কিন্তু মাঠকর্মীরা ঋণগ্রহীতার বাড়ি বাড়ি গিয়ে কিস্তির টাকা সংগ্রহ করছেন।
এ বিষয়ে কমলনগরের তিনজন গ্রাহক বলেন, তার কাছ থেকেও ব্র্যাকের কর্মী কিস্তির টাকা বাসায় গিয়ে আদায় করেছেন। তবে এই সময়ে যেখানে খাওয়ার খেতে কষ্ট হয়,সেখানে তাদের কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে লকডাউন অমান্যকরে বাড়ির বাহিরে গিয়ে উপার্জনের খোজ করতে হচ্ছে তাদের।
রামগঞ্জ থেকে “এসোগড়ি উন্নয়ন সংস্থা” সদস্য শারমিন আক্তারের স্বামী সবুজ হোসেন জানান, তার সঙ্গতি না থাকলেও ধার করে কিস্তির টাকা পরিশোধ করার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে কারও সাথে আলোচনা করলে পরবর্তিতে ঋণ দেওয়া হবে না বলে তাকে জানানো হয়েছে।
টাকা উত্তোলনের করা ব্রাকের মাঠ কর্মী কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মাঠকর্মী বলেন, এই দুঃসময়ে টাকা তুলতে তাদেরও খারাপ লাগে। কিন্তু উর্ধ্বতন কর্মকর্তার আদেশ মান্য করা ছাড়া তার কোন বিকল্প নেই।
এ প্রসঙ্গে ব্র্যাকের কাদির পন্ডিতের হাট শাখার ম্যানেজারের সাথে কথা বললে প্রথমে তিনি কিস্তি আদায়ের কথা অস্বীকার করেন। পরে তথ্যের ভিত্তিতে প্রশ্ন করলে এক পর্যায়ে স্বীকার করে বলেন তারা শুধু বিকাশের মাধ্যমে কিস্তির টাকা আদায় করেন।
বিষয়টি কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, এনজিও গুলোর কিস্তি আদায়ের বিষয়ে সরকারের সুনির্দিষ্ট কোন নির্দেশনা নেই। তবে কমলনগরের সকল ক্ষুদ্র ঋণ আদায় লক ডাউন পর্যন্ত না নেওয়ার নির্দেশ করেছে কমলনগর প্রশাসন। যদি কেউ এই আইন অমান্য করে জোর করে ঋণগ্রহীতাদের নিকট থেকে টাকা আদায়ের চেষ্টা করে তাদেরকে বিরুদ্ধে আইনীব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
0Share