নিজস্ব প্রতিনিধি: একই বা এক হতে আরেক অপারেটর- মোবাইল ফোনের সব কলের সর্বনিম্ন সীমা এক রেটে হচ্ছে। আর এই রেট হতে পারে ৫০ পয়সা। অন্যদিকে কলরেটের সর্বোচ্চ সীমা নাও থাকতে পারে। একই অপারেটরের নম্বরে কলকে বলা হয় অননেট আর একটি অপারেটর হতে অন্য অপারেটরের নম্বরে কলকে অফনেট কল বলে। বর্তমানে অননেটে ২৫ পয়সা এবং অফনেটে ৬০ পয়সা সর্বনিম্ন কলরেট নির্ধারিত আছে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার জানান, অফনেট এবং অননেট কলে এক রেট করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে গ্রাহক স্বস্তি পাবে, কথা বলার খরচ কমবে। এছাড়া বড় অপারেটরগুলো একতরফা সুবিধা নিতে পারবে না। অন্যদিকে ছোট অপারেটর থেকে বড় অপারেটরে কল করার খরচও কমে আসবে-বলেন মন্ত্রী।
অননেট অফনেটে আলাদা আলাদা কলরেট বাংলাদেশ ছাড়া পৃথিবীর কোনো দেশেই নেই। নেই এক অপারেটর হতে আরেক অপারেটরে কলের জন্য ইন্টার কানেকশন এক্সচেইঞ্জ (আইসিএক্স)।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এমএনপি চালু হলে অননেট ও অফনেটের আলাদা কলরেট বাজারে অসম প্রতিযোগিতা তৈরি করতে পারে। এখন কলরেট এক করা হলে এটি কমবে।
জানা যায়, এখন গ্রাহক সংখ্যায় দেশের সবচেয়ে বড় অপারেটর গ্রামীণফোনের অননেট কলের গড় রেট ৪৪ পয়সা, অফনেট তা ১ টাকা ৫৬ পয়সা।
রবির অননেটে ৩৯ পয়সা, অফনেটে ৯১ পয়সা। বাংলালিংকের অননেট ৩৯ ও অফনেটে ৮৯ পয়সা। সরকারি অপারেটর টেলিটকের অননেট রেট ৩৪ পয়সা ও অফনেট ৮৬ পয়সা।
গ্রাহক বেশি হওয়ার কারণে গ্রামীণফোনের প্রায় ৭০ শতাংশ কল অননেট হয়। বিপরীতে সবচেয় কম গ্রাহকের অপারেটর টেলিটকের অননেট কল হয় মাত্র ২০ শতাংশ। এতে অপারেটরটির ৮০ শতাংশ কল অফনেটে হওয়ায় টেলিটক অননেটে কলরেট কম করলেও সব কল মিলে গ্রাহকের কাছে খরুচে হয়ে যায়।
এর আগে ২০১৭ সালে এই কলরেট পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। তখন একই অপারেটরের মধ্যে বর্তমান সর্বনিম্ন কলরেট ১০ পয়সা বাড়িয়ে ৩৫ পয়সা করা, ভিন্ন অপারেটরে তা ১৫ পয়সা কমিয়ে ৪৫ পয়সা করা এবং সর্বোচ্চ কলরেটের সীমা ১ টাকা ৫০ পয়সা করার প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য টেলিযোগাযোগ বিভাগে পাঠিয়েছিল বিটিআরসি।
কিন্তু বিভাগ তা পুনরায় পর্যালোচনা করার জন্য ফেরত দেয়। তখন কলরেট নিয়ে আগের ওই সিদ্ধান্তে কোনো পরিবর্তন আনেনি বিটিআরসি।
সংবাদ সূত্র: টেকশহর
0Share