“উপকূলের জন্য হোক একটি দিন, কন্ঠে বাজুক প্রান্তজনের কথা” এই প্রতিপাদ্যে ১২ নভেম্বর উপকূলীয় এলাকায় সেই ভয়ঙ্কর দিনের কথা স্মরণ করতে লক্ষ্মীপুরে কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জে দ্বিতীয় বারের ন্যায় পালিত হয়েছে প্রস্তাবিত উপকূল দিবস। দিবসটি উপলক্ষে সকালে পদযাত্রা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল ও সামাজিক সংগঠন আলোকযাত্রা-কোস্টাল ইয়ুথ নেটওয়ার্ক লক্ষ্মীপুর এবং উপকূল বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
পদযাত্রাটি উপজেলার তোরাবগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গন থেকে শুরু হয়ে বাজার ঘুরে আবার একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়।
পরে তোরাবগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, ঘূর্নিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচীর উপজেলা সহকারি টিম লিডার ও জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত সদস্য এবং প্রধান শিক্ষক কামাল উদ্দিন আহমেদ বাহার, মতিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল আলম, উদয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিন, চর কালকিনি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদুর রহমান বেলায়েত, দক্ষিণ চর মার্টিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদ উদ্দিন, তোরাবগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন কবির, আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ আলা উদ্দিন, আলোকযাত্রা-কোস্টাল ইয়ুথ নেটওয়ার্কের লক্ষ্মীপুর টিম লিডার জুনাইদ আল হাবিব, শাহাব উদ্দিন মাস্টার বাজার ছাত্র ঐক্য সংঘের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন, কলেজ ছাত্র মোঃ শিপন প্রমূখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উপকূল দিবস বাস্তবায়ন কমিটির স্থানীয় সমন্বয়ক সানা উল্লাহ সানু।
এছাড়া অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
১৯৭০ সালের এই দিনে মহাপ্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে ভোলাসহ লক্ষ্মীপরের রামগতির উপর দিয়ে বয়ে যাওয়ায় ব্যাপক প্রাণহানি ও ধ্বংসযজ্ঞ ঘটে। স্মরণকালের ভয়াবহ এই দুর্যোগে জেলার রামগতি ও বর্তমান কমলনগর উপজেলার উপকূলীয় অঞ্চল লন্ডভন্ড হয়ে যায়।
তৎকালীন নোয়াখালীতে প্রাণ হারায় প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। মেঘনা নদীর উত্তাল ঢেউয়ের প্রবল স্রোতের টানে ভাসিয়ে যায় গবাদি-পশু, ঘর-বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অনেক গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা। বিলীন হয়ে যায় রামগতির বেঁড়িবাধসহ অনেক জনপদ। দিনটিকে জাতীয়ভাবে উপকূল দিবস হিসেবে ঘোষাণার দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় উপকূলবাসী। গত বছর উপকূল বাংলাদেশের ডাকে প্রথম বারের মতো উপকূল দিবস পালিত হয়।
0Share