বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ #Fani গতিপথ পরিবর্তন করে প্রবল শক্তিশালী রূপ নিচ্ছে। জাপানের আবহাওয়া স্যাটেলাইটের তথ্য অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়টির বর্তমান গতিপথ অনুযায়ী এটি ভারতের তামিলনাড়ু উপকূলের দিকে ধীরগতিতে অগ্রসর হচ্ছে। ৩ মে পর্যন্ত এটি সাগরে অবস্থান করে অগ্রসর হবে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কি.মি. যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তবে ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, Severe Cyclonic Storm and is likely to become ‘Very Severe’ now ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ ২৯ ও ৩০ এপ্রিল প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৩৫ কিলোমিটার বাতাসের গতি নিয়ে ‘সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম (প্রবল ঘূর্ণিঝড়)’ ও ১৭৫ কিলোমিটার বাতাসের গতি নিয়ে ‘ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম (অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়)’ এ পরিণত হবে। আগামী ১ ও ২ মে ঘূর্ণীঝড়টি সর্বোচ্চ ১৯৫ কিলোমিটার বাতাসের গতি নিয়ে ‘এক্সট্রিমলি সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম’ এ রূপ নিতে পারে।
কিন্তু ঘূর্ণিঝড়টি এখনও বাংলাদেশের উপকূল থেকে দেড় হাজার কিলোমিটারেরও বেশি দূরে রয়েছে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক মো. সামছুদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ নিয়ে এখন পর্যন্ত আমাদের উদ্বেগের কিছু নেই। কারণ এটা এখনও অনেক দূরে। এটার গতিবিধি আরও পর্যবেক্ষণ করতে হবে।’বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরগুলোতে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত বহাল রেখেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর।
সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এখন যে গতিপথ আছে সেই অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের উপকূলে আঘাত হানতে পারে।’ রোববার বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-৮) জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও কাছাকাছি এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিতে এগিয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে বলেছে আবহাওয়া বিভাগ।
0Share