ঘণ্টায় ১৭০-১৮০ কিলোমিটার গতির বাতাসের শক্তি নিয়ে ভারতের ওড়িশা উপকূলের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে হারিকেনের তীব্রতাসম্পন্ন অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী। ফণী শনিবার ( ৩মে) দুপুরের পর থেকে পুরির দক্ষিণে গোপালপুর ও চাঁদবালির মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে। তখন বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৭৫ থেকে ১৮৫ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়োহাওয়ার আকারে ২০৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে।
অবশ্য ধীর গতিতে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে অতি প্রবল হয়ে ওঠা এ ঝড় গতিপথ বদল করলে বদলে যেতে পারে উপকূল অতিক্রম করার সময় ও স্থান।
উপকূল পার হওয়ার পর ধীরে ধীরে কমে আসবে ফণীর দাপট। তবে তার আগে বিস্তীর্ণ এলাকায় ঝরাবে বৃষ্টি, এর আওতায় থাকছে বাংলাদেশও।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করার এবং গভীর সাগরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ফণীর গতিপথ বিশ্লেষণ করে জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার জানিয়েছে, বুধবার পর্যন্ত এ ঝড় অন্ধ্র উপকূলের দিয়ে অগ্রসর হয়ে তারপর উত্তরে বাঁক নিয়ে ওড়িশা উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে পারে হারিকেনের তীব্রতাসম্পন্ন অতি প্রবল এ ঘূর্ণিঝড়। ফণী স্থলভাগে উঠে আসার সময় উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত হতে পারে স্বাভাবিকের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে।
এক প্রতিবেদনে একুওয়েদার জানিয়েছে, যে বিস্তীর্ণ অঞ্চল ফণীর তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে, সেখানে দশ কোটির বেশি মানুষের বসবাস।
ভারতীয় আবহাওয়া অফিসের রেকর্ড অনুযায়ী, ১৮৯১ সাল থেকে ২০১৭ পর্যন্ত এপ্রিল মাসে বঙ্গোপসারে সৃষ্টি হয়েছে মাত্র ১৪টি ঘূর্ণিঝড়। তার মধ্যে ২০০৮ সালের নার্গিসই কেবল উপকূল অতিক্রম করেছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ আশপাশের আকাশ থেকে নিজের কেন্দ্রের দিকে মেঘ টেনে নেওয়ায় বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় গত চার দিন বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ।
0Share