কালবৈশাখীর আসল নাম,‘নর-ওয়েস্টার।’ অর্থাৎ উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে এই ঝড় ধেয়ে আসে বলে একে বলে ‘নর-ওয়েস্টার’। তাই বলে কালবৈশাখী শুধুমাত্র বৈশাখ মাসেই দেখা যাবে-এমনটি নয়। কালবৈশাখী ঝড় ১৫ এপ্রিল থেকে ১৫ মে পর্যন্ত দেখা যায়।
বাংলাদেশে বিগত সময়ে মার্চ মাসে কমপক্ষে দু’টি, এপ্রিলে চারটি এবং মে মাসে তিনটি কালবৈশাখী ঝড় হওয়ার ইতিহাস রয়েছে।
ঝড়ের গতিবেগ ঘন্টার ৫০ কিলোমিটারের বেশি এবং স্থায়ীত্ব অন্তত এক মিনিট হলে সেটাই কালবৈশাখী ঝড়।
কেন এই ঝড়টার নাম কালবৈশাখী?
পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশ, সমগ্র পূর্ব এবং উত্তরপূর্ব ভারতে গরমকালে বিকেলে যে ঝড় বয়ে যায়, তাকে বলে কালবৈশাখী। যে হেতু এই ঝড় বৈশাখ মাসে বেশি দেখা যায়, তাই এর এমন নামকরণ।
কালবৈশাখী তৈরি হল কী ভাবে?
কালবৈশাখী তৈরি হয় মালভুমি অঞ্চলে। দিনের বেলায় প্রবল গরমের ফলে ওখানকার হাওয়া গরম হয়ে উপরে উঠে যায়। তার শূন্য স্থান পূরণ করতে ছুটে যায় জলীয় বাষ্পভরা ঠান্ডা বাতাস। ঠান্ডা ও গরম হাওয়ার সংমিশ্রণে উল্লম্ব মেঘ তৈরি হয়। সেটাই শেষে কালবৈশাখী হয়ে আছড়ে পড়ে।
0Share