লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১১জন আহত হয়েছে। রোববার সকালে উপজেলার পাটারিরহাট ইউনিয়নের বোয়ালিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলো-ইসমাইল, মোসলেহ উদ্দিন, ইব্রাহিম, আরিফুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন, কহিনুর বেগম, দুলাল বাঘা, মাশকুরা বেগম,সেলিনা বেগম, সিজলু আক্তার ও শাহিদা বেগম। তাদের লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকার হাজি জয়নাল আবেদিনের ছেলে আবুল কালাম, আবুল বাশার ও এক মেয়ে এক একর ৭৩ শতাংশ জমি মোসলেহ উদ্দিন, দুলাল বাঘা,দিন ইসলাম,নুরু মাজি ও মাহবুব বাঘার কাছে বিক্রি করে। মৃত জয়নাল আবেদিনের আরো তিন ছেলে তিন মেয়ে থাকায় দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছে। এ বিষয়ে একাধিক বার সালিশ বৈঠক হলেও সমাধান হয়নি। বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলাও চলছে।
মোসলেহ উদ্দিন দীর্ঘদিন দখল না পাওয়ায় লোকজন নিয়ে রোববার সকালে জমি দখলের চেষ্টা করে। এ সময় অন্যান্য খরিদদাররা তাদের মহিলাসহ বাঁধা দেয়। পরে স্থানীয়রাসহ একত্রিত হয়ে মোসলেহ উদ্দিনের লোকজনের ওপর আক্রমন চালায়। এসময় তাদের তাদের পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় দুলাল বাঘাকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
দুলাল বাঘার ছেলে মোকতার বাঘা বলেন, একই মালিকের থেকে জমি ক্রয় করেছে সবাই। সমাধান ছাড়া মোসলেহ উদ্দিন আজ জমি দকলের চেষ্টা করলে আমার বাবা, স্ত্রী, ছোট ভাইয়ের স্ত্রীরা তাদের ওপর হামলা করে।এলাবাসী একত্রিত হয়ে তাদের প্রতিহতের চেষ্টা করলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
এদিকে মোসলেহ উদ্দিন বলেন, আমি সবার আগে হাজি জয়নাল আবেদিনের ওয়ারিশদের থেকে ৭০শতাংশ জমি ক্রয় করি।দীর্ঘদিন আমার জমি দখলে নিতে পারিনি। রোববার সকালে আমার আত্মীয়-স্বজন নিয়ে জমি চাষ করতে গেলে দুলাল বাঘা ও তার লোকজন আমাদেরকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে। মুমূর্ষু অবস্থায় সবাইকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে আমার ভাগিনা ইসমাইলের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন পক্ষেই মামলা করেনি। মামলা হলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
39Share