জুনায়েদ আহম্মেদ: লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুর স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি শিক্ষকদের বিলে স্বাক্ষর না করায় গত দুই মাস যাবত বেতন-ভাতা উত্তোলন করতে পারছে না, শিক্ষক-কর্মচারীরা। এতে পরিবার পরিজন নিয়ে অত্যন্ত কষ্টে দিনযাপন করছে তারা।
গভর্নিং বডির সভাপতি পদে রয়েছেন হিজবুল বাহার রানা। তিনি সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের বশিকপুর গ্রামের মানিক বাড়ির গোলাম মোস্তফার ছেলে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষক জানায়, প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির সভাপতির নানা অনিয়ম ও প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ এনে তার অপসারণ চেয়ে এবং জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেয়া হয়। এতে স্বাক্ষর করেন গভর্নিং বডির অপরাপর সদস্য এবং ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আবুল বাছেদে। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বেতন ভাতার বিলে স্বাক্ষর করছেন না।
অভিযোগ সূত্র ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, স্থানীয় সংসদ সদস্যের ডিও লেটারের প্রেক্ষিতে গভর্নিং বডির সভাপতির পদে মনোনয়ন দেয়া হয় হিজবুল বাহার রানাকে। শুরু থেকেই সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি প্রতিষ্ঠানে বহিরাগত লোক নিয়ে এসে মহড়া দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করতেন। এছাড়া আর্থিক নানা বিষয়ের অভিযোগ এনে অভিভাবক সদস্য এবং স্থানীয়রা কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড ও জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। এ নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দেয়।
প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল বাছেদ অভিযোগ করে বলেন, সভাপতির বিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে হুমকি দিচ্ছেন। এতে আমি থানায় সাধারণ ডায়েরিও করেছি। তিনি এখন আমার বেতন ভাতাসহ শিক্ষকদের বেতন ভাতাদির কাগজে সভাপতি স্বাক্ষর না দেয়ায় দুই মাস ধরে বেতন ভাতা পাচ্ছেন না শিক্ষকরা। কমিটি নিয়ে দীর্ঘ দিনের দ্বন্ধে প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকরা প্রাণখুলে পাঠদান করাতে পারছে না। শিক্ষকরা শ্রেনী কক্ষে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে হিজবুল বাহার রানা সম্প্রতি ফেসবুক লাইভে এসে বলেন, বিএনপি জামায়াতের মদদে অধ্যক্ষ এধরনের কাজ করছেন।
সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু তালেব বলেন, প্রতিষ্ঠানটির সভাপতির স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের বিষয়ে উদ্বর্ধতন কর্র্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। গভনিং বডি ভেঙ্গে ফেলার সুপারিশের কথা জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।
পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ বলেন, প্রতিষ্ঠান প্রধানকে হুমকি দেয়ার বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। তদন্ত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানালেন এসপি।
356Share