সব কিছু
facebook lakshmipur24.com
লক্ষ্মীপুর শনিবার , ২০শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৫ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
৪ বছর পর জানলেন তাদের নাম রয়েছে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকায়

৪ বছর পর জানলেন তাদের নাম রয়েছে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকায়

৪ বছর পর জানলেন তাদের নাম রয়েছে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকায়

লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার বড়খেরী ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির  হতদরিদ্রদের তালিকায় নাম থাকলেও ৪ বছরে ১০টাকা কেজির চাল পায়নি তিন জন ভূক্তভোগি।

তালিকা অনুযায়ী ইস্যু করা কার্ড দিয়ে ২০১৬ সাল থেকে চালও উত্তোলন হচ্ছে নিয়মিত । কিন্তু যাদের নামে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির এ চাল তোলা হয়েছে তারা বিষয়টি জানলেন চার বছর পর। খাদ্য অধিদপ্তরের নিয়োগ করা ডিলার মো. ফারুক কার্ডে জাল টিপসই দিয়ে বিতরণ দেখিয়ে চালগুলো আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ওই হতদরিদ্ররা ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত ওই হতদরিদ্ররা জানান, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকায় নাম তুলতে বড়খেরী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের শাহাদাত হোসেন, নিজাম উদ্দিন ও সেলিনা আক্তার ২০১৬ সালে জনপ্রতিনিধিদের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেন। ওই বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ডিলার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য (৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড) শামছুর নাহার লাবণীর স্বামী মো. ফারুক সুবিধাভোগীদের মধ্যে ১০ টাকা কেজির চাল বিতরণ শুরু করেন। কিন্তু তিনজন হতদরিদ্র তাদের কার্ড সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। দীর্ঘদিন থেকে এসব অনিয়ম চলে আসছে। এতদিন আমাদের নামের সিরিয়াল নম্বর  রেশনকার্ডে উল্লেখ করে ভূয়া ব্যক্তির নাম দিয়া চাল উত্তোলন করতেন ওই ডিলার ।খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সুবিধা যাতে আমরা পেতে পারি সে ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবীও করেন তারা। এদিকে রেশন কার্ডে মহিলার নাম থাকলেও ছবি লাগানো আছে পুরুষ ব্যাক্তির।

সম্প্রতি বড়খেরী ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সুবিধাভোগীদের নাম ওয়েবসাইটে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হলে বিষয়টি ধরা পড়ে। স্থানীয় গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে ওই তিনজন জানতে পারেন তারা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকাভুক্ত এবং গত চার বছর ধরে তাদের নামে চাল তোলা হচ্ছে। চার বছরে প্রত্যেকের নামে ২১ কিস্তিতে ১০ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল তোলা হলেও তাদের ভাগ্যে এক কেজি চালও জোটেনি।

এ বিষয়ে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার মো. ফারুক জানান, চাল আত্মসাতের সঙ্গে তিনি সম্পৃক্ত নন। কার্ডধারীদের মধ্যেই চাল বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু চার বছর ধরে ওই তিনজনের চাল কে তুলে নিল- এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হাসান মাকসুদ মিজান জানান, ওএমএস তালিকায় যাদের নাম লিপিবদ্ধ আছে তারাই সরকারের দেওয়া দশ টাকা কেজিতে চাল পাওয়ার যোগ্য । এর বাহিরে কেহ এ সুবিধা ভোগ করলে সেটা অনিয়মের শামিল হবে বলে তিনি জানান।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আব্দুল মোমিন বলেন, এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রামগতি সংবাদ আরও সংবাদ

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে সোচ্চার আশরাফুল আলম হান্নানকে প্রাণনাশের হুমকি; থানায় জিডি

রামগতিতে নবান্ন উৎসব

রামগতি বাজারের খালের ওপর দুই শতাধিক দোকান, নেই প্রশাসনের ভূমিকা, নেই খাল সংস্কারের উদ্যোগ

রামগতির দুর্গম চরবাসীর জন্য কেনা ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্সটি চরবাসীর কোন কাজে আসছে না

আড়াই কোটি টাকার মার্কেটটি উদ্বোধনের দুই বছর পরেও তালাবদ্ধ !

রামগতিতে প্রণোদনার বীজ-সার পেল ৪ হাজার ১৬৫জন কৃষক

Lakshmipur24 | লক্ষ্মীপুরটোয়েন্টিফোর বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রনালয়ে নিবন্ধিত নিউজপোর্টাল  
 All Rights Reserved : Lakshmipur24 ©2012- 2025
Editor & Publisher: Sana Ullah Sanu
Muktizudda Market (3rd Floor), ChakBazar, Lakshmipur, Bangladesh.
Ph:+8801794822222, WhatsApp , email: news@lakshmipur24.com