দ্যুতিময় হে পিতা মুজিব
মাইন উদ্দিন পাঠান
তোমার প্রতিকৃতি ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে
প্রতি বছরের মতো
শত থেকে হাজার, হাজার থেকে লক্ষ মানুষে ভরে গেছে এই মাঠ
তুমি কী টের পাচ্ছো আমার বুকের উত্তাপ
তুমি কী টের পাচ্ছো আমাদের তেজ ?
কি জ্যোতির্ময় বিশ্বাস বসিয়ে দিয়েছিলে আমাদের প্রাণের ‘পর
তোমার রহস্যময় দৃষ্টি কি বলে তোমার উঁচু বুক উত্সিক্ত তর্জনী কি বলে
আমরা জেনেছি, আর জেনেছি বলেই তো জীর্ণ কুঁড়েঘর থেকে বেরিয়ে
ভাঙা আলপথ ধরে বন্ধুদের বুকে উত্তাপ ছড়িয়ে অজানায় পাড়ি দিয়েছি
মা তখন মাটির হাঁড়ি মাটির চুলায় বসিয়ে ধোঁয়ায় ফুঁ দিচ্ছিলেন।
তারপর কত দিন কত রাত পুর্ণিমা অমাবস্যা জোয়ার ভাটা
খরায় কেটেছে সেই এক নষ্ট সময় কষ্টের সময় বাবা মা ভাই বোন মানুষের
চারিধারে হানাদার সর্পিল জনপদ হায়েনার ছোটাছুটি অহরহ।
আমি তখন এ সবুজ মাঠে-প্রান্তরে রক্তের হোলি খেলি, দূর্ভেদ্য ভেদ করি
হানাদার খতমের উন্মাদনায় বিভোর থাকি মূহুর্তে মূহুর্তে পুলকিত…
খুনের রঙ কত বিস্ময়কর লাল কত অসহনীয় যন্ত্রণার, যখন দেখি
বন্ধুর পাণ্ডুর মুখ, নিথর দেহ, প্রাণ উড়াল দিয়েছে যুদ্ধের বিপরীতে
সে বন্দুক ভেঙে পাক-হানাদারের হৃদপিণ্ড এনে দিয়েছিল আমার হাতে
বাঁচিয়ে দিয়েছে পুরোদল, আমাদের সহযোদ্ধাদের প্রাণশক্তি।
আমি তাঁর মাঝে দেখেছিলাম দ্যুতিময় হে পিতা মুজিব তোমাকে
তোমার দৃষ্টির দুরত্ব মেপে বুকের উচ্চতা দেখে তর্জনীর সাহস নিলাম
অতঃপর আমরা চললাম।
আজও চলছি তোমার দেখানো পথে….
0Share