নিজস্ব প্রতিনিধি: ৪শ বছরের ঐতিহ্যবাহী সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ এলাকার রামচন্দ্রপুরের সপ্তাহ ব্যাপি হযরত দেওয়ানশাহ্ মেলা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে এ মেলা উদ্বোধন করা হয়। এর
আগে মেলা প্রাঙ্গনে এক সূধী সভা অনুষ্ঠিত হয়। মেলা কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান নিজামের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, মেলা কমিটির উপদেষ্টা ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-প্রচার সম্পাদক মুনছুর আহম্মদ,চন্দ্রগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাকির হোসেন জাহাঙ্গীর, উপদেষ্টা কামাল হোসেন,পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারী জহির উদ্দিন খোকন মেম্বার, সেলিম মেম্বার প্রমূখ।
স্থানীয়রা জানান, সপ্তাহব্যাপি চলা এই মেলায় এবার ৫ শতাধিক স্টল স্থান পায়। এখানে কাঠ, স্টীল ও বেতের তৈরী দেশীয় সামগ্রী, বাচ্চাদের বিভিন্ন খেলনা, কসমেটিকস, রকমারী দেশীয় খাবার দোকানসহ নাগরদোলা, পুতুলনাচ, যাদু প্রদর্শণীর আয়োজন রয়েছে।
মেলা পরিচালনা কমিটি বরাত দিয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, মেলার নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী এবং গ্রাম পুলিশসহ পাশাপাশি সার্বিক নিরাপত্তায় থানা পুলিশের টহল থাকবে ।
ফকির দেওয়ান শাহ্ (রা:):
বিষয়ে চন্দ্রগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এবং মাইটিভি ও দৈনিক বাংলাদেশ সময়ের জেলা প্রতিনিধি মোঃ আলী হোসেন জানান, যতটুকু জানি বাংলাদেশে আগত অগনিত আওলিয়ার মধ্যে ফকির দেওয়ান শাহ্ (রা:) আনুমানিক ৪শ ২৭ বৎসর পূর্বে আরবের মক্কানগরী হতে ইসলাম প্রচারের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামে এসে আস্তানা স্থাপন করেন। আমৃত্যু তিনি চন্দ্রগঞ্জের আশপাশের এলাকায় ইসলাম প্রচারের কাজ করে যান। পরে তিনি মৃত্যু বরণ করলে স্থানীয় ভক্তগণ বর্তমান মেলা এলাকার নিকটে তাঁকে সমাহিত করেন।
পরবর্তীতে স্থানীয় জনগণ তার সমাধি কে পরে হযরত দেওয়ানশাহ্(রাঃ)মাজার শরীফ নামে অভিহিত করেন। দেওয়ানশাহ্(রাঃ)র সমাধি এলাকায় একটি দিঘি, মসজিদ,মাদ্রসা ও এতিম খানা, লাইব্রারী, দেওয়ানশাহ প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কমিনিউটি ক্লিনিকসহ আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেছে।
প্রতি বৎসর বাংলামাঘ মাসের ১ তারিখ থেকে ৭ দিন ব্যাপি বার্ষিক মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলায় দূরদুরান্ত থেকে অসংখ্য লোক আসে মাজার যিয়ারত এবং মেলা দেখার জন্য।
0Share