লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীরহাট ফেরিতে উঠার জন্য প্রায় ২শতাধিক মালবাহী গাড়ির জট তৈরি হয়েছে গত ৩দিন যাবত। মজুচৌধুরী ঘাটের ব্যবস্থাপক জানিয়েছেন এ জট শেষ হতে ৫-৭ সময় লাগতে পারে। এর মাঝে মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শতশত যাত্রী ভোলা ও পশ্চিমাঞ্চলের জেলায় যেতে ফেরিঘাটে ভীড় করছিল।
ঘাট এলাকায় দুই শতাধিক পণ্যবাহী ও শতাধিক ব্যক্তিগত যানবাহন অবস্থান করছে। যাত্রী ও যানবাহন পারাপারের এ রুটে ৩ ফেরি থাকলেও বর্তমানে ২টি ফেরি সচল রয়েছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মেঘনা নদীর লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌ-রুটের লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মজুচৌধুরীহাট ঘাটে লঞ্চ বন্ধ থাকায় শতশত যাত্রী ঝুঁকি নিয়ে ছোট নৌকা, স্পীড বোট ও ফেরিযোগে নদী পার হচ্ছেন। এসময় কোন ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিসি) মজুচৌধুরী ঘাটের ব্যবস্থাপক মোঃ কাউছার জানান, বড় গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকায় ছোটগাড়ির চাপ বেড়েছে প্রায় ৫গুন। সে কারণে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়েছে। তিনি আরো জানান, এ যানজট শেষ হতে আগামি ৫-৭ দিন লাগতে পারে।
ঘাটসূত্রে জানা যায়, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ১২ জেলা এবং চট্টগ্রাম বিভাগের নয়টিসহ ২১ জেলার মানুষের আন্তঃজেলা যাতায়াতের অন্যতম রুট ভোলা-লক্ষ্মীপুর (মজুচৌধুরীরহাট) ফেরিঘাট। মোংলা সমুদ্র বন্দর ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রুটও এটি।
0Share