ভোলা ও লক্ষ্মীপুর রুটের কৃষাণী নামের ফেরিটি ১৩টি যানবাহন নিয়ে ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে ডুবোচরে আটকে থাকার ছয়দিন পর মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় উদ্ধার হয়েছে। এরপর রাত সাড়ে ৯টায় যানবাহন নিয়ে পুনরায় পারাপারের জন্য রওনা দিয়েছে ফেরিটি।
মজু চৌধুরীর হাট ফেরি ঘাটের ইনচার্জ আবু আলম হাওলাদার জানায়, কৃষাণী ফেরিটি ডুবোচর থেকে উদ্ধার হওয়ার পর মজু চৌধুরীর হাট ঘাটে পৌঁছে রাত সাড়ে ৯টায় যানবাহন , মালামাল ও যাত্রী নিয়ে আবার ভোলার ইলিশা ঘাটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়ে গেছে। ভোলার ইলিশা ঘাটে পৌঁছতে ৪থেকে সাড়ে ৪ঘন্টা লাগতে পারে।
গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা থেকে ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের এ ফেরিটি ডুবোচরে আটকে পড়ায় দু’প্রান্তে পারাপারের জন্য ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে দেড় শতাধিক মালবাহী যানবাহনের।
বিআইডাব্লিউটিসি সূত্র জানায়, ডুবোচরে আটকে পড়ার পর থেকে বেশ কয়েকবার ফেরিটি উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ফেরিটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ফলে ডুবোচরে আটক ফেরিটি উদ্ধার হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়া পরিবহন শ্রমিক ও সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগ কিছুটা লাঘব হলো।
ঝড়ে ডুবোচরে আটকা কৃষাণী ফেরির শ্রমিকরা জানায়, গত ১৫ মে বিকেল ৩টায় লক্ষ্মীপুরের মজু চৌধুরীর হাটঘাট এলাকা থেকে ভোলার ইলিশা ঘাটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়ে মেঘনার রহমতখালী এলাকায় কৃষাণী ফেরিটি ঝড়ের কবলে পড়ে। এ সময় ফেরি চালক দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরিটি কিনারায় ভেড়ানোর চেষ্টা করলে ডুবোচরে ফেরিটি আটকে পড়ে। ওই ফেরিতে থাকা ১২টি মালবাহী ট্রাক ও ১টি পিকআপ আটকা পড়ে আছে।
বিআইডব্লিউটিসি সূত্র জানায়, ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে দীর্ঘদিন ধরে দু’টি ফেরি নিয়মিত চলাচল করছে। গত বৃহস্পতিবার কৃষাণী নামের একটি ফেরি ডুবোচরে আটকা পড়ায় করবি নামের অপর ফেরিটি স্বাভাবিকভাবে নিয়মিত চলাচল করছে। এর সঙ্গে গত ১৮ মে কনকচাপা নামের আরেকটি ফেরি এ রুটে চলাচল শুরু করায় উভয় পাড়ে যানজট কিছুটা কমতে শুরু করেছে।
ভোলা ইলিশা ফেরি ঘাটের ওয়ারলেস অপারেটর মো. ইসমাইল জানায়, ডুবোচরে আটকে পড়া কৃষাণী নামের ফেরিটি বেশ কয়েকবার উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হওয়ায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর ফলে সোমবার বিকালে অপরাজিতা নামের আরেকটি ফেরি আটকে পড়া ফেরি কৃষাণীকে উদ্ধারের জন্য পাঠানো হয়।
সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত চেষ্টার ফলে কৃষাণী ফেরি থেকে ট্রাক নামিয়ে ওজন কমিয়ে ফেরিটি ডুবোচর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
0Share