এমআর সুমন, রায়পুর: লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার মাছবাজারগুলোয় ৪ দিন ধরে যেসব ইলিশ আসছে, সেগুলোর অর্ধেকই ডিমওয়ালা। স্বাদ কম হওয়ায় এসব ডিমওয়ালা ইলিশ তুলনামূলক কম দামে বিক্রি হচ্ছে। ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে গত শুক্রবার রাত ১২টার পর থেকে মেঘনা নদীতে মাছ ধরা শুরু করে রায়পুরের ৮ হাজার জেলারা। তবে বাজারে ডিমওয়ালা ইলিশ এলেও, ভবিষ্যতে ইলিশ উৎপাদনে প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন মৎস্য কর্মকর্তারা।
উপজেলার আলতাফ মাষ্টার ঘাট, সাজু মোল্লা ঘাট, হাজীমারা বাজার, নতুন বাজার ও পুরান বেড়ীর মাছবাজার ঘুরে দেখা যায়, ছোট, মাঝারি ও বড় আকারের ইলিশের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন বিক্রেতারা। সেগুলোর একটা বড় অংশ ডিমওয়ালা। ডিমওয়ালা মাছের দাম তুলনামূলক কম। তবে অধিকাংশ ক্রেতা ডিম ছাড়া ইলিশ খুঁজছেন। সেগুলো দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে।
নতুন বাজারের মাছবিক্রেতা তোমাল বলেন, এক কেজি ওজনের ডিমওয়ালা ইলিশ ৭৫০ থেকে ৮০০০ টাকায়, ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায় ও ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ডিমওয়ালা ইলিশ ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিম ছাড়া ইলিশের দাম ওজনভেদে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেশি।
রায়পুর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এমদাদুল দুক বলেন,
এবার নদীপারের সিংহভাগ জেলে সরকারের নিষেধাজ্ঞা মেনে চলায় ওই ২২ দিনে ইলিশের ডিম ছাড়ার লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। এমনিতে সারা বছর ইলিশ কমবেশি ডিম ছাড়ে। বেশি ডিম ছাড়ে প্রজনন সময়ে, অর্থাৎ অক্টোবর মাসের অমাবস্যা ও পূর্ণিমাতে। এই বছর ওই সময়টা ছিল বেশি পরিমাণে ডিম ছাড়ার সময়। তাই এখন বাজারে ডিমওয়ালা ইলিশ আসায় উদ্বেগের কিছু নেই। আমরা যা আশা করেছি, এবার তার চাইতে বেশি ডিম ছেড়েছে ইলিশ।
103Share