লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলা চরগাজী ইউনিয়নে মেঘনা নদী সংলগ্ন চরলক্ষ্মী গ্রামে স্লুইচ গেইটটি বানানো হয়েছিল পানি ধরে রাখার জন্য। যাতে করে জোয়ারের সময় লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে না পারে আবার লোকালয়ের পানি খাল হয়ে নদীতে প্রবেশ করতে পারে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ডালা অকেজো অবস্থায় রয়েছে এ স্লুইচ গেইটটি। ফলে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে লোকালয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্লুইচ গেইটটি পানি প্রবেশের প্রথম ডালা মরিচা ধরে অকেজো এবং অন্যটির ডালা নেই, অনেক আগেই মরিচা পড়ে নষ্ট হয়ে। এখন এ গেইটটি দিয়ে অনায়াসে জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে।
স্থানীয়রা বলেছেন, দীর্ঘদিনের এ সমস্যা সমাধানের জন্য একাধিকবার জানালেও কোন কাজ করেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড। অন্যদিকে চেয়ারম্যান ও মেম্বারদেরও নেই কোন ভ্রুক্ষেপ। ফলে অধিক জোয়ারের পানিতে আমাদের ভোগান্তির শেষ থাকে না।
কৃষক মো. জমির উদ্দিন জানান, অচল স্লুইচ গেইটের কারণে জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকে যাচ্ছে। জোয়ারের পানি নামতে পারছে না। ফলে, আমাদের ফসলী জমি নষ্ট হচ্ছে।
চরলক্ষ্মী গ্রামের বাসিন্দা মীর আজমল হোসেন বাবু জানান, শুরু থেকে এ গ্রামে স্থাপিত স্লুইচ গেইটটির উপকার এখানকার মানুষ পেয়েছিল। কিন্তু যখন ডালা অকেজো হয়ে গেছে তারপর থেকেই আমাদের ভোগান্তি শুরু হয়ে গেছে। স্লুইচ গেইটের ডালাটি সচল থাকলে জোয়ারের সময় বন্ধ করে দিলে আমাদের আর সমস্যা হত না। অধিক জোয়ারের পানি প্রবেশ করতে পারতো না। এখন জোয়ারের পানিতে ঘর-বাড়ির আঙিনা ও ফসল তলিয়ে যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বরাকাত হোসেন জনি বলেন, এ সমস্যা সমাধানে কাজ করবে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এ দুর্ভোগ সমাধানে আমরা কি করবো।
রামগতি পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবি) উপ-সহকারী প্রকৌশলী আ ম ম নাঈম বলেন, বিষয়টি নিয়ে সরেজমিনে গিয়েছি। নদীর পাড়ে অর্থাৎ স্লুইচ গেইটের পানি প্রবেশের মুখ থেকে নদী পর্যন্ত পলি জমার কারণে লোকালয়ের পানি বের হতে পারছে না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি দেখিয়েছি।
ডালাগুলো সচল করার ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবি) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এম এম জাহাঙ্গীর বলেন, পলি অপসারণ করা না গেলে আমাদের কিছুই করার নেই।
মিসু সাহা নিক্কন/বার্তা-08-23
200Share