মাত্র ১৫ মিনিটের ঝড়ে লক্ষ্মীপুর জেলার শতশত একর জমির ইরি-বরো ধান বিবর্ণ হয়ে গেছে। কোন ক্ষেতের ধান সাদা, আবার কোন ক্ষেতের ধান লাল, কালো হয়ে চিটাতে পরিণত হয়েছে। দিন যত যাচ্ছে শতশত একর জমিতে বিবর্ণ চেহারা তত বেশি স্পষ্ট হচ্ছে। এ অবস্থা দেখে কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়েছে।
শুক্রবার (৯ এপ্রিল) লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়ন, রায়পুর, রামগঞ্জ, কমলনগর উপজেলার অন্তত ৫টি গ্রামে ধানে এ বিবর্ণ চেহারা দেখা গেছে। বিবর্ণ ধানের বেশির ভাগই হাইব্রিড। তবে কিছু উচ্চ ফলনশীল জাতেও এ সমস্যা দেখা গেছে। এমন অবস্থায় বড় ক্ষতির আশংকা করছে কৃষক।
সদর উপজেলার সিলাধি গ্রামের কৃষক মো: ইউছুফ জানান, তিনি ৪ একর জমিতে ব্রিধান-৬৭ লাগিয়েছেন। ধানে শীষ বের হয়েছে। এমন সময় গত রবিবার (৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় মাত্র কয়েক মিনিটের কাল বৈশাখী ঝড়ে তার সবগুলো ধান নষ্ট হয়ে গেছে।
ওই কৃষকের ক্ষেতে সরেজমিনে গিয়ে প্রায় ৮০ ভাগ ধান নষ্ট দেখা গেছে। শুধু ইউছুপই না ওই গ্রামের প্রায় আড়াইশ একর জমির ধানে এমন বিবর্ণ দেখা গেছে।
অন্যদিকে কমলনগর উপজেলার উত্তর চর লরেঞ্চ গ্রামের কৃষক মো: চৌধুরী মিয়া জানান, তার প্রায় ২ একর জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে। কৃষক জাহাঙ্গীর জানান, জীবনে বহু দূযোর্গ দেখলেও এমন কান্ড বিগত সময়ে আর কোন দিন দেখেননি। কি কারণে এমন অবস্থা হয়েছে তা কেউই অনুমান করতে পারছেন না।
কৃষক হারুন অভিযোগ করে জানান, ঝড়ের পর কয়েক দিন হয়ে গেলেও কৃষি বিভাগ কিংবা সংশ্লিষ্ট কোন বিভাগের কেউ এসে একবার খোঁজ নেয়নি। এ অবস্থায় কৃষকরা নিরুপায় হয়ে গেছে।
লক্ষ্মীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়ের তথ্য কর্মকর্তা মোঃ আবুল হোসেন জানান, ঝড়ের পর ধানে ক্ষতির কথা তারা শুনেছেন। আগামি ২-৩ দিনের মধ্যে ক্ষয়ক্ষতির হিসেবটা বের করা যাবে বলে জানান তিনি।
লক্ষ্মীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে চলতি বোরো মৌসুমে জেলায় প্রায় ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বরো ফসল আবাদ করা হয়েছে।
0Share