মিসু সাহা নিক্কন: উপকূলীয় অঞ্চলে বৃক্ষরোপন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে পূবালী ব্যাংক পিএলসি নোয়াখালী শাখার উদ্যোগে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। কর্মসূচির অধিনে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার উপকূলীয় চরগাজী, বড়খেরী ও চর রমিজ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার ১২টি স্থানে ৪০০টি উচ্চ ফলনশীল নারিকেল চারা রোপন করা হয়।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে লক্ষ্মীপুরের রামগতি বাণী ভবাণী কমেশ্বরী পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বৃক্ষরোপন কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। পূবালী ব্যাংক পিএলসি প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনায় নোয়াখালী আঞ্চলিক কার্যালয়ের তক্তাবধায়নে মাইজদী কোর্ট শাখা এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেন। পূবালী ব্যাংক পিএলসি এর সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে এ বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়।
বৃক্ষ রোপন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিলেন রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) সৈয়দ আমজাদ হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পূবালী ব্যাংক পিএলসির আঞ্চলিক কার্যালয় নোয়াখালীর উপ মহাব্যবস্থাপক ও অঞ্চল প্রধান মাঈনুল ইসলাম, আরো উপস্থিত ছিলেন পূবালী ব্যাংক পিএলসির, মাইজদী কোর্ট শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক ও শাখা প্রধান স্বপ্না দাস চৌধুরী, রামগতি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবু সাঈদ তারেক, উপজেলা বন কর্মকর্তা আবদুল বাচেত।
পূবালী ব্যাংক পিএলসি নোয়াখালী অঞ্চলের উপ মহাব্যবস্থাপক ও অঞ্চল প্রধান মাঈনুর ইসলাম বলেন, পূবালী ব্যাংকের সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছে। একটি দেশের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা দরকার কিন্তু আমাদের দেশে রয়েছে ১৫ ভাগেরও কম। এই বৃক্ষ রোপন কর্মসূচির মাধ্যমে উপকূলীয় এলাকা সুরক্ষিত হবে ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা পাবে।
রামগতি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবু সাঈদ তারেক বলেন,উপকূলকে সুরক্ষিত করতে বৃক্ষ রোপনের কোন বিকল্প নেই। উপকূলীয় অঞ্চলে পূবালী ব্যাংকের এ বৃক্ষরোপন কর্মসূচিকে সাদুবাদ জানাই। আশা করছি এই কর্মসূচির মাধ্যমে উপকূলের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সুরক্ষিত হবে। পূবালী ব্যাংক গোটা উপকূলীয় অঞ্চলে এই বৃক্ষরোপন কর্মসূচি ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবে বলে আশা করছি।
22Share