নিজস্ব প্রতিনিধি:রামগতি উপজেলা সদর আলেকজান্ডার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিনা আক্তার ২০১৪ সালে জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা নির্বাচিত হয়েছেন। প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রদান বিষয়ক জেলা বাছাই কমিটি ওই সিদ্ধান্ত দেন। বিদ্যালয় প্রশাসন ব্যবস্থাপনা, পাঠদানে দক্ষতা, সমাপনী পরীক্ষায় শতভাগ সফলতা অর্জন, সহপাঠ কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনসহ শিক্ষা ক্ষেত্রে অনন্য অবদান রাখায় তাকে শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা নির্বাচিত করা হয়।
ওই সময় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রদান বিষয়ক জেলা বাছাই কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক এ কে এম টিপু সুলতান, সদস্য সচিব ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নুরুল ইসলাম, জেলা তথ্য অফিসার আবদুল্লাহ আল্ মামুনসহ কমিটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সেলিনা আক্তার ২০০৬ এবং ২০০৮ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ৮ বার রামগতি উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা নির্বাচিত হন। তিনি ২০১০ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত পাঁচবার জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা নির্বাচিত হন। এ ছাড়া ২০০৯ সালে তার বিদ্যালয়টি উপজেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় হয়। ওই বছর শ্রেষ্ঠ ম্যানেজিং কমিটির ক্যাটাগরিতেও তার বিদ্যলয়টি নির্বাচিত হয়। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের অধীনে ২০১০ সালে কৃতি অভীক্ষা প্রণয়নে শিক্ষক ক্যাটাগরিতে তিনি বিষয় বিশেষজ্ঞ নির্বাচিত হন।
এদিকে ২০১১ সালে দৈনিক কালের কন্ঠ পত্রিকার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে জেলার গুনী শিক্ষক হিসেবে তিনি সম্মাননা লাভ করেন এবং ঢাকার বিএসবি ফাউন্ডেশন থেকে জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা হিসেবে তিনি এ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। ২০১২ সালে ইউরোপীয় কমিশন ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনায় স্কুল ফিডিং প্রোগ্রামের আওতায় তিনি কেনিয়া, দুবাই এবং আফ্রিকার মালাবীতে শিক্ষা সফর করেন।
সেলিনা আক্তার বলেন, আগামী দিনের দক্ষ জনশক্তি গঠনের দায়িত্ব শিক্ষকদের। প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষকদের আন্তরিকতা ও অভিভাবকদের সহযোগিতাই প্রধান। এ ক্ষেত্রে মনিটরিং ব্যবস্থাও জোরদার থাকা প্রয়োজন। কারণ উন্নত মনিটরিং ব্যবস্থায় শিক্ষকার মান উন্নত হয়। বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের আগমন-প্রস্থান, শ্রেণিতে পাঠটিকা ও উপকরণ ব্যবহার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীর পরিস্কার-পরিছন্নতা, ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়মিত উপস্থিতি ও অন্যান্য সহপাঠক্রমিক কার্যাবলী নিশ্চিত করণে মনিটরিং তথা তদারকির গুরুত্ব অপরিসীম।
0Share