লক্ষ্মীপুরের সদর সহ প্রায় ৫টি উপজেলায় দিন দিন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে র্স্বর্ণের দোকান। এ জেলায় প্রায় হাজার খানেক স্বর্ণের দোকান রয়েছে। জেলার অধিকাংশ স্বর্ণের দোকানে নেই পরিবেশ অদিধপ্তারের ছাড়পত্র, ডিজিটাল পরিমাপ যন্ত্র, এডিস ব্যবহারের অনুমোদন, বন্ধকী লাইসেন্স। অভিযোগ উঠেছে এসব অনিয়মের কারনে মোটা অংকের দফারফার মাধ্যমে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের কার্যক্রম। নাম প্রাকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্বর্ণকার ব্যবসায়ী জানান, আমারা স্বর্ণ ব্যবসা সমিতির মাধ্যমে করে থাকি। সমিতির সভাপতি সেক্রেটারীর কাছে প্রতি মাসে প্রতি দোকানকে এক হাজার টাকা করে দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে আমাদের আর কোন কাগজের প্রয়োজন হয় না। যত সমস্যা আছে আমরা তা তাদেরকে জানাই। তারা সসম্যার সমাধান করে দেন। স্বর্ণের দোকানে গয়না তৈরী করার সময় অবৈধভাবে রাস্তার পাশে প্রকাশ্যে এসিড ব্যবহার করছে স্বর্ণকাররা। এসব ক্ষতিকারক এসিড অবাধে ব্যবহার করার ফলে পথচারী শিশু,স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও গয়না তৈরী কারিগররা ফুসফুসের সমস্য সহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এডিস ব্যবহার সরকারী বিধি-নিষেধ থাকলেও কর্তৃপক্ষের নজরদারীর অভাবে তাকে কার্যকর করা হচ্চে না। এসিড ব্যবহার সরকারী অনুমতি বাধ্যতামূলক হলেও অধিকাংশ দোকান মালিকের নেই কোন অনুমতিপত্র। অনেকে মনে করেছেন কর্তৃপক্ষের রহস্যজনক আচরনে এসব দোকান মালিকেরা পার পেয়ে যাচ্ছেন। এসিড ব্যবহারের সময় রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা আক্রান্ত হচ্ছেন বেশি। ফলে ফুসফুসের সমস্য সহ শ্বাসনালীর নানা সমস্যায় ভুগছেন। অভাধে এভাবে রাস্তার পাশে এসিড ব্যবহার করার ফলে মনে হচ্ছে এগুলো দেখার যেন কেউ নেই। অবাধে এডিসে ব্যবহার বন্ধ করা অত্যান্ত জরুরী বলে মনে করে সচেতন মহল ।
0Share