নিজাম উদ্দিন: লক্ষ্মীপুর কমলনগরের মেঘনা নদীতে চিংড়ি শিকারিদের বিরুদ্ধে বিষ প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে। এতে চিংড়ি মাছের পাশাপাশি নানা জাতরে মাছের পোনা নিধন হচ্ছে। ফলে নদীতে মাছের অকাল দেখা দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জেলে ও বাসিন্দারা।
স্থানীয় লোকজন জানায়, রাতের আঁধারে উপজেলার সাহেবের হাট ইউনিয়নের জাজিরা এলাকায় একটি চক্র নদীর পানিতে বিষ প্রয়োগ করে চিংড়ি শিকার করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মামুন মোল্লা ও ইসমাইল বলেন, বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাতে অপরিচিত কয়েকজন লোক জাজিরা এলাকায় এসে নদীতে বিষ প্রয়োগ করে। এতে চিংড়ি পানির ওপরে চলে আসে। একইসঙ্গে বিষ প্রয়োগের কারণে অন্যান্য ছোট প্রজাতির মাছ মারা যায়।
তারা জানান, এভাবে মাছ শিকার করা অপরাধ। মৎস্য সম্পদ নিধন হচ্ছে। তাই আমরা স্থানীয় লোকজন বিষ প্রয়োগকারী চিংড়ি শিকারিদের বাধা দিই। এতে আমাদের সাথে তাদের হট্টগোল হয়। তারা উল্টো আমাদের প্রশাসনের ভয় দেখায়।
স্থানীয় জেলে মিজান ও আলী আকবর বলেন, বিষ প্রয়োগ করলে চিংড়ি ওপরে উঠে এলেও অন্যান্য মাছের পোনা মরে যায়। এভাবে নদীর মৎস্য সম্পদ বিনষ্ট হয়। আমাদের জালে মাছ ধরা পড়ে না। বিষ প্রয়োগকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
মো. দুলাল নামে আরেক জেলে বলেন, যে এলাকায় বিষ প্রয়োগ করা হয়, ওইসব এলাকায় আগামীতেও অন্য কোনো মাছের দেখা মিলবে না। নদীর পানিতে বিষ ছড়িয়ে গেলে চিংড়ির পাশাপাশি অন্যান্য জাতের পোনাও নিধন হয়।
এ বিষয়ে কমলনগর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তূর্য সাহা বলেন, বিষ প্রয়োগে মাছ শিকার অপরাধ। খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
0Share