স্কেভেটর মেশিন দিয়ে ভুলুয়া নদী থেকে মাটি কেটে ওপরে তোলা হচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদক | লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে জলাবদ্ধতা নিরসনে ভুলুয়া নদীতে আড়াআড়ি মাটির বাঁধ সহ পানি প্রবাহের সকল ধরনের প্রতিবন্ধকতা অপসারণে এবার স্থানীয়দের সাথে যুক্ত হলো পানি উন্নয়ন বোর্ড ।
রবিবার (৪ আগস্ট) বিকেল উপজেলার আজাদনগর স্টিল ব্রিজ এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষে উপ সহকারী প্রকৌশলী আবদুর রহিম ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী তনয় রায় চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এর আগে গত ২৪ জুলাই থেকে স্থানীয়রা নিজেদের উদ্যোগে ওই এলাকায় ভুলুয়া নদী খননের কাজ শুরু করে। তারা ২টি স্কেভেটর মেশিন দিয়ে ১০ দিন যাবত ভুলুয়া নদী থেকে মাটি কেটে ওপরে তুলে নদীতে পানি প্রবাহ স্বাভাবিক করেছিল।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলী আবদুর রহিম বলেন, স্থানীয়দের কাজের সাথে এবার যুক্ত হলো পানি উন্নয়ন বোর্ড। প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে আজাদনগর স্টিল ব্রিজ এলাকা থেকে কোডেক বাজার পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার এলাকায় পানি চলাচল স্বাভাবিক করা হবে।
স্থানীয়রা জানায়, লম্বায় ৭৬ কিলোমিটার আর ১০০ মিটরের বেশি প্রস্থের ভুলুয়া নদীটি লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালী জেলার অতি গুরুত্বপূর্ণ নদী। কিন্তু দীর্ঘ বছর ধরে এ নদীতে কোন স্রোত নেই। বাঁধ দিয়ে দখল এবং মাছ ধরার জাল পেতে নদী দখলে নিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। পানিপ্রবাহ না থাকায় প্রতি বর্ষা মৌসুমে তৈরি হয় দীর্ঘ জলাবদ্ধতা।
লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ ইমতিয়াজ মাহমুদ বলেন, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার ভুলুয়া নদী খননের জন্য যৌথবাবে একটি সমীক্ষা চলছে। আশা করি খুব শীঘ্রই কাজ হবে। অন্যদিকে এলাকাবাসীর নিজস্ব উদ্যোগে নদী খননের কথা আমাদেরকে জানিয়েছিল। আমরাও তাদেরকে বলেছি আমরা যতটুকু পারি সাধ্যমতো সহযোগিতা করবো।
তবে স্থানীয়দের কাজ শুরুর ১০ দিন পর এবার পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ শুরু করলো। স্থানীয়রা আমাদেরকে যথা সাধ্য সহযোগিতা করবে। ভুলুয়া নদীর আড়াআড়ি মাটির বাঁধ সহ পানি প্রবাহের সকল ধরনের প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করা হবে। যেখানে যেখানে মাটির বাঁধ, জাল কিংবা প্রতিবন্ধকতা আছে সেখানে সেখানে স্কেভেটর মেশিন দিয়ে তা কেটে দিবো।
0Share