মেঘনা নদীর তীররক্ষা বাঁধের ৩১শ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পটি ক্যাটাগরি সি হবে না। তবে এতবড় বাজেটের একটি কাজটি শেষ হতে সময় লাগবে। এ জন্য জনগণকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। কিন্ত সরকারের পাশ হওয়া একটি প্রকল্প হবে না এমন কথা যারা বলে, প্রচার করে, তারা হয় মূর্খ, না হয় দুষ্টু। এরকম অপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না। তারা টেন্ডার বুঝে না, কাজের পদ্ধতিও বুঝে না। এ কথাগুলো বলেছিলেন, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের মহাসচিব ও লক্ষ্মীপুরের রামগতি-কমলনগর আসনের সংসদ সদস্য মেজর (অব) আবদুল মান্নান এমপি। রবিবার(১৪ আগষ্ট) দুপুরে স্থানীয় তোরাবগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের ভোকেশনাল শাখার নবনির্মিত ৪তলা ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন কথা বলেছিলেন তিনি।
এসময় তিনি বলেন, সরকারের ব্যয় কমানোর জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পকে গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন ক্যাটাগরি করা হয়। যার মধ্যে রামগতি-কমলনগরের ৩১শ কোটির টাকার প্রকল্পটি ক্যাটাগরি সি করেছে সচিবরা। পরে আমার দাবি ও আবেদেনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে নদী বাঁধের কাজ চলমান থাকবে। তবে ২০২৩ সালের আগষ্ট মাসে প্রকল্পের অধীন কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন সে সময়ে হওয়া নিয়ে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। ইতোমধ্যে ১০০টি টেন্ডার হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, জোয়ারের কারণে প্রতিনিয়ত যে রাস্তাঘাট ভেঙ্গে যাচ্ছে তা ভবিষ্যতে টিকেয়ে রাখা এখন আরো একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
কমলনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মেজবাহ উদ্দিন বাপ্পীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নিজাম উদ্দিন, সাবেক সভাপতি একেএম নুরুল আমিন মাস্টার, বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ কামাল উদ্দিন আহমেদ, বিকল্পধারার কমলনগর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক ছিদ্দিক মিয়া, তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফয়সাল আহমেদ রতন, এমপি পুত্র তাসফিক মান্নান, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিব হোসেন সোহেল, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদ উদ্দিন বাঘা প্রমুখ। অনুষ্ঠানের পরে তিনি নতুন ভবনের উদ্বোধন করে দোয়া করেন।
স্থানীয়ভাবে জানা যায়, লক্ষ্মীপুরের প্রবল নদী ভাঙ্গন কবলিত কমলনগর ও রামগতি উপজেলাকে মেঘনা নদীর ভাঙ্গন থেকে রক্ষার জন্য ২০২০ সালে প্রায় ৩১শ কোটি টাকার একটি প্রকল্প পাশ করে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। ২০২১ সালের জানুয়াতি প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন হয়ে আর কোন অগ্রগতি হয়নি। এমতাবস্থায় এ প্রকল্পের ভবিষ্যত নিয়ে শংকা প্রকাশ করছে স্থানীয় লোকজন। অন্যদিকে প্রতিনিয়ত মেঘনার জোয়ার ও টেউয়ে ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে এ দুই উপজেলার হাজার হাজার মানুষ।
0Share