নিজস্ব প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে প্রতিদিনই বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। প্রচন্ত গরম আর বৃষ্টিতে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত এক সপ্তাহে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে ৫ শ’র বেশি রোগী। ১০ শয্যার ডায়রিয়া ওয়ার্ডের পাশে আরেকটি নতুন ওয়ার্ড বানিয়ে দেয়া হচ্ছে চিকিৎসা সেবা। সরকারি হাসপাতাল হলেও ঔষধ কেনার জন্য টাকা দিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ রোগীর স্বজনদের। আর কম জনবল নিয়ে রোগিদের সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন ডাক্তাররা।
বৃষ্টি ও গরমে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে লক্ষ্মীপুরের সদর হাসপাতালে গত এক সপ্তাহে চিকিৎসা নিয়েছে প্রায় ৫ শতাধিক রোগী। একই অবস্থা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতেও। আক্রান্তদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধ বেশি।
প্রতিটি বেডে ২ থেকে ৩জন রোগী ভর্তি করা হচ্ছে। এতে করে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রোগী ও তাদের স্বজনদের। স্বজনদের অভিযোগ, সরকারি হাসপাতালেও টাকা দিয়ে ওষুধ কিনতে হচ্ছে। খাবারের ব্যবস্থা আর টয়লেটগুলোও ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় ক্ষোভ তাদের।
১০০ শয্যার হাসপাতালে নেই পর্যাপ্ত জনবল। ডাক্তার, নার্সসহ বিভিন্ন শ্রেণীর কর্মচারীর পদ প্রায় অর্ধেক খালি। ফলে সেবা চালু রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বললেন জানালেন চিকিৎসকরা।
গরীব রোগীদের হাসপাতাল থেকে স্যালাইন সরবরাহ করা হয় বলে জানালেন জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডক্টর মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
এ অবস্থায় সরকারি এই হাসপাতালের জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধ ও জনবল নিয়োগ দেয়া দাবি জানিয়েছে লক্ষ্মীপুরবাসী।
0Share